ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কমিশন 'প্রভাবিত' হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। তৃণমূলের চাপের কাছে কমিশন মাথা নত করেছে বলে দাবি করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রটি ছাড়াও রাজ্যের আরও চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু কমিশনের তরফে এ দিন শুধু ভবানীপুর কেন্দ্রটিতেই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যসচিবের লেখা চিঠিতে সাংবিধানিক সংকটের অংশটুকুকে বিবেচনা করেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে। আর এতেই অসন্তুষ্ট দিলীপ ঘোষ।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, "এই মুহূর্তে রাজ্যে উপনির্বাচনের পরিবেশ নেই। লোকাল ট্রেন চলছে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ। অর্থাৎ এখনও করোনা যায়নি। সুতরাং রাজ্যে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। নির্বাচন কমিশন কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভোট ঘোষণা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।"
আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরেই উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর, ওই দিনই ভোট বাংলার ২ কেন্দ্রে
এই দাবি কী বিজেপি লিখিতভাবে জানাবে? জবাবে, দিলীপ ঘোষ বলেন, "সেটা পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, আমি বলছি কমিশন প্রভাবিত হয়েছে। তদন্তের দরকার রয়েছে।"
ভবানীপুর সহ রাজ্যের পাঁচ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও দুই কেন্দ্রের নির্বাচন দ্রুত করার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। ২রা মে ফলাফল প্রকাশের পর ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে। কিন্তু রাজ্যে উপনির্বাচন না হলে ৫ নভেম্বরের পর কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন মমতা? তা নিয়ে জোর জল্পনা ছিল। মমতার বিধায়ক হওয়া রুখতে বিজেপির তরফে উপনির্বাচনের বিরোধীতা করা হয়। কমিশন এতদিন ভোটের কথা না বলায় তাদের ভূমিা সদর্থক বলেই মনে করছিল গেরুয়া বাহিনী। কিন্তু এ দিন উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই ছবি একেবারে পাল্টে গিয়েছে। কমিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির। অন্যদিকে নির্বাচনী নিয়ামক সংস্থার ভূমিকা পক্ষপাতমূলক বলে তোপ দেগেছে পদ্ম বাহিনী।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "প্রমাণিত হল যে বিজেপির কথায় কমিশন চলে না। আর মুখ্যসচিব তৃণমূলের নির্দেশে রাজ্যের সাংবিধানিক সংকটের কথা চিঠি দিয়ে কমিশনকে জানিয়েছেন। প্রশাসনিকস্তর থেকে এটা কী করা যায়? আমরা এই টাকে ইস্যু করব।"
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন