বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব যতই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করুন না-কেন, নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের শীর্ষ নেতা লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ইডির কর্তারা। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই তল্লাশিতে নগদ ১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তাদের দাবি, উদ্ধার হওয়া ওই নগদের পুরোটাই হিসেব বহির্ভূত।
শুক্রবারই লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা। লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদব বর্তমানে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। ইডির কর্তারা তাঁর ঠিকানাতেও হানা দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া অর্থ তাঁদের ধারণার চেয়ে অনেক কম বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ধারণা।
তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, বিপুল অর্থ দুর্নীতি করার মাধ্যমে লালুপ্রসাদের পরিবার রোজগার করেছে। এর একটা বিরাট অংশ রোজগার হয়েছে চাকরি কেলেঙ্কারি আর রেলের জমি কেলেঙ্কারির মাধ্যমে। এর পাশাপাশি, তহবিল তছরুপের মাধ্যমেও বিপুল অর্থ যাদব পরিবার রোজগার করেছে বলেই দাবি ইডির তদন্তকারীদের।
এই সব অভিযোগে তদন্ত এখনও চলছে। লালুপ্রসাদের পরিবারের পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চলছে। রিয়েল এস্টেট থেকে অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের। কারণ, লালুপ্রসাদ যাদব দীর্ঘদিন বিহারের অবিসংবাদী নেতা ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর ছেলে এখনও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- জন্মহারে চরম উদ্বেগ, তুমুল চিন্তায় জাপান
আর তাই, তল্লাশি বাড়ালে আরও বিপুল অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলেই ইডি কর্তাদের ধারণা। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তকারীরা মোট ২৪টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছেন। যে এক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ১,৯০০ মার্কিন ডলার। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ৫৪০ গ্রাম সোনার বাট এবং দেড় কেজি সোনার গয়না। লালুপ্রসাদের পরিবার অবশ্য অভিযোগ করেছে, তাঁদেরকে হেনস্তা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।