হাইভোল্টেজ উপনির্বাচনে 'কুল' ফিরহাদ। সৌজন্যের রাজনীতির পাঠ দিলেন তৃণমূল নেতা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে চেতলায় সিপিএমের ক্যাম্প অফিসে গিয়ে বসে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। চায়ের ভাঁড় হাতে চলল দেদার আড্ডা। রাজ্য রাজনীতিতে সৌজন্যর এই ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে দেরি করেননি চিত্র সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদর প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদের সহাস্য জবাব, 'এখানে রাজনীতি নেই। পাড়ার ছেলে আমি। মতাদর্শ আলাদা হলেও এটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক।'
ভোটের ভবানীপুরে এ এক অন্য ছবি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে চেতলায় সিপিএমের ক্যাম্প অফিসে বসে চায়ের আসর জমালেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাড়ার ছেলে হয়েই পরিচিতদের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছেন বলে জানালেন সাংবাদিকদের। ক্যাম্পে থাকা সিপিএমের নেতা-কর্মীরাও কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের এই সৌজন্যের রাজনীতিতে আপ্লুত। তাঁরাও জানালেন, এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অনুচিত।
সকাল থেকেই সরগরম ভোটের ভবানীপুর। সাতসকালেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনেও নালিশ ঠুকেছেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও পত্রপাঠ প্রিয়াঙ্কার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মক পোলিংয়ের জন্যই ওই বুথে ভোটগ্রহণ শুরুতে দেরি হয়েছে বলে জানিয়ে দেয় কমিশন।
আরও পড়ুন- ‘নকল EVM দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা’, বিজেপির নিশানায় তৃণমূল
সকাল থেকে ভোটপর্বের তদারকিতে বেরিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও। দলনেত্রীকে জেতাতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভবানীপুরের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন ফিরহাদ। ভোটর সকালেও তার অন্যথা হল না। নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া থেকে শুরু করে গোটা ভোট পর্বেই দলের হয়ে তদারকিতে রাজ্যের মন্ত্রী। বেলা বাড়তেই ফিরহাদের সৌজন্যের রাজনীতি খবরের শিরোনামে উঠে আসে। চেতলায় বাড়ির কাছে সিপিএমের ক্যাম্প অফিসে গিয়ে বসে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা চলে বয়সে নবীন-প্রবীণ বাম নেতা-কর্মীদের সঙ্গে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন