New Update
Advertisment
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে আগেই জেলা কমিটির থেকে ১৫ জন সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন। সেই ক্ষোভ সামলে ওঠার আগেই ফের বড় ধাক্কা খেলো গেরুয়া শিবির। বারাসত সাংগঠনির বিজেপি জেলা সভাপতির তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে একযোগে পদ ছাড়লেন অশোকনগরের ৫ বিজেপির পদাধিকারী। রবিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে দলীয় কার্যলেয়ে পদত্যাগের কথা জানান এইনেতারা। তাঁদের ক্ষোভ মূলত জেলা সভাপতির দল পরিচালনার নীতির নিয়ে। যদিও বিষটিতে আমল দিচ্ছেনা সভাপতি তাপস মিত্র।
বারাসাত সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির ৬৯ জন জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। গত রবিবার জেলা সভাপতির উপর ক্ষোভ দেখিয়ে ১৫ জন সাংগঠনিক পদ ছেড়েছিলেন। এবার অশোকনগরে সাংবাদিক বৈঠক করে চন্দন দাস, গৌরাঙ্গ নন্দী ,কৃষ্ণা রায়, গৌরাঙ্গ দাস ও প্রবীর দাস এই পাঁচজন পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। সদ্য পদত্যাগী ওই নেতাদের অভিযোগ, বর্তমান জেলা সভাপতি দলের পুরনো নেতৃত্ব ও কর্মীদের কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না৷ পাশাপাশি তারা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মতো অভিযোগ তুলেছেন৷ পদত্যাগীরা এদিন তাপস মিত্রকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন।
সাংবাদিক বৈঠকে পদত্যাগী বিজেপ পাঁচ নেতা বলেন, 'আমরা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আমাদের পদ ছাড়ার কারণ জানিয়ে একটি চিঠিও পাঠাচ্ছি।' বারাসাত সাংগঠনিক পদ থেকে একের পর এক নেতার পদত্যাগ করায় আরও প্রকট বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল৷ যার ফলে এলাকায় দলের সাংগঠনিক শক্তিও আরও দুর্বল হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের৷ স্বভাবতই, জেলা সভাপতির পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
আরও পড়ুন- বাংলা দখলের দাওয়াই কী? টুইট করলেন জিতেন্দ্র, কীসের ইঙ্গিত?
যদিও বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না জেলা সভাপতি তাপস মিত্র। নিজের দিকে তোলা অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করে পাল্টা দোষীদের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন তাপস বাবু। তিনি বলেন, 'কিছু লোক ভুল বুঝিয়ে কয়েক জনকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়েছে। কয়েক জন জেলার পদাধিকারী হতে চেয়েছিলেন। না হতে পেরে আমার বিরুদ্ধে চাক্রান্ত করে এই সব করছেন। তাঁরা দল বিরোধী কাজ করছে। এতে দল আরও ভালো ভাবে চলবে।'