২০১৭ সালের গোরখপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ অভিযোগ তুললেন গোরখপুরের বি আর ডি হাসপাতালের সেই শিশু চিকিৎসক কাফিল খান। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধেয় শিশুমৃত্যুর জেরে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গতবছর জেলে গিয়েছিলেন কাফিল খান। সম্প্রতি তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনও অভাব ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কাফিল খান সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন তা ঠিক নয়। অক্সজেন সাপ্লায়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, সরবরাহ চালু রাখার জন্য তাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হোক।’’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি ছিল, বছরের ওই সময়ে যে জাপানি এনকেফালাইটিস ছড়ায় তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। সে দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে কাফিল খানের দাবি, ‘‘সদ্যোজাতদের এনকেফালাইটিস হয় না। ওই ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছিল।"
গতবছর অগাস্টে এক সপ্তাহের মধ্যে গোরখপুরের বিআরডি হাসপাতালে ৬০ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকেই ছিল সদ্যোজাত। অভিযোগ, অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার বকেয়া না মেটানোয়, হাসপাতালে অক্সিজেনের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, যার ফলে এই শিশুমৃত্যু ঘটেছিল।
গত শনিবার যোগী আদিত্যনাথ লখনউয়ের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনও অভাব ছিল না। যদি তাই হত, তাহলে ভেন্টিলেটরে যে সব শিশুরা ছিল সর্বাগ্রে তাদেরই মৃত্যু হত। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে। গোটা ঘটনার জন্য হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকেই দায়ী করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য, ‘‘ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমি স্বাস্থ্য দফতরের ডিজি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যশিক্ষামন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে রিপোর্ট দিতে বলেছিলাম। পর দিন আমি নিজেই সেখানে যাই এবং জানতে পারি, অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি ছিল না। যদি তেমনটা হত, তাহলে ভেন্টিলেটরে থাকা শিশুরাই সবার আগে মারা যেত।’’ বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ সরকারও অক্সিজেনের ঘাটতিজনিত শিশু মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে।