Goa Poll 2022: ভোটমুখী গোয়ায় বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি। রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন বন্দর মন্ত্রী মাইকেল লোবো। পাশাপাশি পদ্ম শিবিরের সঙ্গে সংশ্রব ত্যাগ করে ছাড়লেন বিধায়ক এবং দলের সদস্যপদ। ইতিমধ্যে পশ্চিমের সেই রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় এক দফাতেই ভোট। কিন্তু তার আগে লোবোর এই সিদ্ধান্তে স্পষ্টতই ব্যাকফুটে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, মাইকেল লোবো প্রমোদ সাওয়ান্ত মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য, যিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন। পাশাপাশি সেই রাজ্যের শাসক দলের তৃতীয় বিধায়ক, যিনি ভোটের আগে দলও ছাড়লেন। সম্প্রতি বিজেপি বিরোধী নির্বাচনী সভা এবং বরদেজ তালুকার পদ্ম বিরোধী প্রার্থীর প্রচারে সক্রিয় ছিলেন লোবো।
রাজ্য বিধানসভার সচিবকে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ১৫ বছরের। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি খুব ব্যথিত এবং দুঃখিত। আমার মতো কর্মীর বিজেপিতে দরকার নেই। তাই দল আমাকে বহিষ্কারের আগে আমিই সসম্মানে পদ ছাড়লাম।‘
জানা গিয়েছে, শুধু বন্দর নয়, লোবোর অধীনে গ্রামোন্নয়ন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং বর্জ্য মোকাবিলার মতো মন্ত্রক ছিল। এদিকে, লোকসভার প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ব্যয়ের ঊর্ধ্বসীমা ৭০ লাখ থেকে বেড়ে হল ৯৫ লক্ষ্য। অন্যদিকে বিধানসভার ক্ষেত্রে প্রার্থীরা এবার প্রচারে সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবেন ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। যা আগে ছিল ২৮ লক্ষ টাকা।
জনসংখ্যা ও আয়তনের নিরিখে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন হবে এমন রাজ্যের তালিকায় যেমন রয়েছে উত্তরপ্রদশের মতো বৃহৎ রাজ্য, তেমনই আছে গোয়ার মতো অপেক্ষাকৃত ছোট রাজ্যেও। এইসব বিবেচনা করেই কমিশনের ঘোষণা, বৃহৎ রাজ্যগুলিতে প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ (আগে ছিল ২৮ লাখ) এবং ছোট রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে প্রার্থী ২৮ লক্ষ পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে। আগে ছোট রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ ছিল ২০ লাখ।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে গত কয়েক বছর ধরেই কমিশনের কাছে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধির উর্ধ্বসীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। যা খতিয়ে দেখচে একটি কমিটি গঠন করে কমিশন। এই কমিঠির সদস্যরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই বাজার দরের প্রক্ষিতে প্রার্থীদের ব্যয়ের উর্ধ্বাসীমা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুপারিশ করে কমিশনের কাছে। সেই সুপারিশই গ্রহণ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর আগে ২০১৪ সালে প্রার্থীদের ব্যয়ের উর্ধ্বসীমা বেড়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন