কর্ণাটকে বিপুল জয়ের পথে কংগ্রেস। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণের এই রাজ্যে বিরাট সাফল্য কংগ্রেসকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে। কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের ট্রেন্ড দেখে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস। প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে লিখেছেন, ''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই হেরেছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর উপর ভর করেই বিজেপি কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিল।''
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ টুইটে লিখেছেন, “কর্ণাটকের ফলাফল দৃঢ় হওয়ায় এটা এখন নিশ্চিত যে কংগ্রেস জিতেছে ও প্রধানমন্ত্রী হেরেছেন। বিজেপি তার নির্বাচনী প্রচারকে প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যে তাঁর 'আশীর্বাদ' পাওয়ার বিষয়ে গণভোট বানিয়েছিল। এটা চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে!”
টুইটে তিনি আরও লিখেছেন, “কংগ্রেস এই নির্বাচনে স্থানীয় জীবন-জীবিকা এবং খাদ্য নিরাপত্তা, মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকের দুর্দশা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, বেকারত্ব এবং দুর্নীতির ইস্যুগুলি নিয়ে লড়াই করেছিল। প্রধানমন্ত্রী বিভক্তির ইঞ্জেকশন দিয়েছেন এবং মেরুকরণের চেষ্টা করেছেন। কর্ণাটকের ভোট বেঙ্গালুরুতে এমন একটি ইঞ্জিনের জন্য হল যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে রাজ্যে সামাজিক সম্প্রীতিরও সমন্বয় ঘটাবে।”
আরও পড়ুন- অপ্রতিরোধ্য কংগ্রেস, ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির, মুচকি হাসি জেডিএসের
২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত যা ফল প্রকাশের ট্রেন্ড তাতে বিজেপিকে পিছনে ফেলে বেশ এগিয়ে কংগ্রেস। ম্যাজিক ফিগার ১১৩ পেরিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কংগ্রেস এগিয়ে ১৩০টি আসনে, বিজেপি এগিয়ে ৬৬টি আসনে। অন্যদিকে জেডি (এস) এগিয়ে ২২টি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে ৬টি আসনে। ডি কে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়া, প্রিয়াঙ্ক খড়গে, লক্ষ্মণ সাভাদি এবং সতীশ জারকিহোলির মতো কংগ্রেস নেতারা রাজ্যের প্রাথমিক বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন।