মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। গতকালই সাফ জানিয়েছেন, বিজেপিতে যাচ্ছেন না, কিন্তু কংগ্রেস ছাড়ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসে সম্মান পাননি বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন ক্যাপ্টেন। তাঁর এই অভিযোগের পরদিনই আসরে নামল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
দলের সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত পাল্টা দাবি করলেন, "ক্যাপ্টেনকে সবসময় মাথায় তুলে রাখা হয়েছিল। সবরকম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেননি ক্যাপ্টেন। রাওয়াতের দাবি, চরণজিৎ সিং চান্নির নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব সরকার অনেক বেশি স্থিতিশীল।" শুক্রবার পাঞ্জাব কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রাওয়াত বলেছেন, "কংগ্রেস সবসময় মাথা তুলে রেখেছিল ক্যাপ্টেনকে। তাঁর পরিবারকেও অনেক সম্মান দিয়েছে দল। ১৯৯৮ সালে পাতিয়ালা আসনে ভরাডুবির পরও তাঁকে কংগ্রেসে নেওয়া হয় এবং সনিয়া গান্ধি তাঁকে পাঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতি করেন।"
তিনবার তিন বছরের মেয়াদে প্রদেশ সভাপতি হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন। এমনকী কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে দুবার। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সবরকম ক্ষমতা তাঁকে দিয়েছিল দল। রাওয়াত বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, ক্যাপ্টেন বারগাড়ি, মাদক, বিদ্যুৎ-সহ একাধিক ইস্যুতে নিজের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ। গোটা রাজ্যে গুঞ্জন ক্যাপ্টেন এবং বাদলরা একে অপরের সাহায্য করছেন। গোপন বোঝাপড়া রয়েছে দুপক্ষের। আমি বার বার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য জোরাজুরি করতাম, কিন্তু পাঁচবার ক্যাপ্টেন সাহেবের সঙ্গে বৈঠক করেও কোনও ফল মেলেনি।"
আরও পড়ুন ‘গোটা শহরের দমবন্ধ করে দিয়েছেন!’, কৃষকদের তুমুল ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
রাওয়াতের অভিযোগ, "নিজের জেদ ছাড়েননি ক্যাপ্টেন। তিনি মনে করতেন, তাঁর কোনও পরামর্শের দরকার নেই। এমনকী দলের বিধায়ক-মন্ত্রীদের তো ছাড়, নেতৃত্বের কথাও শুনতেন না ক্যাপ্টেন। তাও আমি ক্যাপ্টেনের বাসভবনে গিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করি। পাঁচটা পয়েন্ট নিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ঐক্যমতে আসি। কিন্তু ২০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তাঁর কাছ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। দলের বিধায়ক-মন্ত্রীরা অধৈর্য হয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই শীর্ষ নেতা-বিধায়করা বিদ্রোহ শুরু করেন।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন