কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য প্রদর্শন করে ১৯টি দল বুধবার এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এই যৌথ বিবৃতিতে দলগুলো নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের কথা জানিয়েছে। ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু, এই বিবৃতিতে অনুপস্থিতির তালিকা বিরোধী ঐক্যের ফাটলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। যেমন, বিবৃতিতে সই করেননি ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও।
তাঁর অনুপস্থিতি বেশি করে চোখে পড়ছে, কারণ, চন্দ্রশেখর রাও এর আগে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করছিলেন। বিআরএসের তরফে জানানো হয়েছে, তারাও নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করবে। তবে, সেই সিদ্ধান্ত তারা আলাদাভাবে ঘোষণা করবে।
চলতি বছরের শেষের দিকেই তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষমতাসীন বিআরএস। বিরোধী শিবিরে কংগ্রেস এবং বিজেপি। কিন্তু, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আবার কংগ্রেসও রয়েছে বিরোধী শিবিরে। তাই বলে, কেন্দ্রীয় রাজনীতির স্বার্থে তেলেঙ্গানার রাজনীতিকে বিসর্জন দিতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই কারণে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের পর শনিবারের শপথ অনুষ্ঠানে বিরোধী শিবিরের কেসিআরকে কংগ্রেস আমন্ত্রণ জানায়নি। অথচ, সেই অনুষ্ঠানে বেছে অন্যান্য বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যার ফলে কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারের শপথ অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ।
তবে, কেন্দ্রীয়স্তরে এর আগে দেখা গিয়েছে অন্য চিত্র। বিআরএস নেতারা লোকসভা থেকে রাহুল গান্ধীর বাদ চলে যাওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। পাশাপাশি, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অন্যান্য বিরোধীদের সঙ্গেই যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরও মজার বিষয় হল, বিহারে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার কেসিআরের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেননি।
আরও পড়ুন- নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে তুমুল বিতর্ক, কেন চরম বাগযুদ্ধে বিজেপি-কংগ্রেস?
বরং, কেসিআরই পাটনায় গিয়ে নীতীশ এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নীতীশ কিন্তু, বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধীদেরকেই একছাতার তলায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু, যে বিরোধী নেতা যেচে গিয়ে নীতীশের সঙ্গে দেখা করে এলেন, তাঁর সঙ্গেই সাক্ষাৎ করার কোনও চেষ্টা করছেন না জেডিইউ নেতা। কেসিআরও তাই ধরে নিয়েছেন একলা চলো নীতি।