Uttar Pradesh: ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধনে উত্তর প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি তিনটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। গোরক্ষপুর এইমস, সার কারখানা এবং আইসিএমআর এবং আরএমআরসির যৌথ উদ্যোগে উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণাগার। এই অনুষ্ঠানের উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, ‘সারা উত্তর প্রদেশ জানে লাল টুপি লাল বাতির কারণ। লাল টুপি মানেই রাজ্যে বিপদের পূর্বাভাস। লাল টুপি যারা পরেন তাঁরা আপনাদের বেদনা, সমস্যা নিয়ে চিন্তিত নয়। তাঁরা শুধু ক্ষমতা চায়, বেআইনি দখলদারি চায়, মাফিয়া রাজ চায়।‘
তাঁর দাবি, ‘গোরক্ষপুরের অনুষ্ঠান প্রমাণ করে দিয়েছে সংকল্প থাকলে নতুন ভারতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।‘ মোদির কথার সুত্র ধরেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘পরিত্যক্ত সার কারখানা নতুম উদ্যমে শুরু করার ক্ষমতা একমাত্র বিজেপির আছে। ১৯৯০ সালে এই কারখানা বন্ধ হয়েছ, ২০১৪ পর্যন্ত কেউ কারখানা খোলার ব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। এই কারখানার হাত ধরেই পূর্ব উত্তর প্রদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইবে।‘
এদিকে, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে ভোট। বিজেপি কী ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে? সম্প্রতি মুখ খুলেছেন পদ্ম শিবিরের চাণক্য। বিরোধী জোটের (হলেও হতে পারে) প্রভাবের কথা উড়িয়ে অমিত শাহর কথায়, ‘রাজনীতি রসায়ণ বা পদার্থ বিদ্যা নয় যে দুটি দল জোট করলেই ভোট একত্রিত হয়ে যাবে। অতীতে এর বহু উদাহরণ রয়েছে। এর আগে এসপি ও কংগ্রেস, পরে এসপি-কংগ্রেস-বিএসপি জোট বেঁধে ভোটে লড়েছিল কিন্তু জিতেছে বিজেপি। ভোটাররা রাজনীতির পাটিগণিত অনুযায়ী ভোট প্রয়োগ করেন না। এবারও বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসবে।’ উত্তরপ্রদেশের ভোটে কৃষকদের আন্দোলন কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই দাবি শাহর।
অপরদিকে, ‘অযোধ্যা ও কাশীতে বিশাল মন্দির নির্মাণ চলছে, এর পরে মথুরায় মন্দিরের প্রস্তুতি শুরু হবে।’ অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি এবং আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়। এর মধ্যেই ফের একবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেশব প্রসাদ মৌর্য্য। তাঁর সাফ দাবি, ২০১৭ সালে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার আগে ‘লুঙ্গি ছাপ’ গুন্ডারাই রাজ্যে অবাধে ঘুরতো এবং প্রায়ই ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে তাঁদের জমি দখল করত।
প্রয়াগরাজে ব্যবসায়ীদের এক সভায় গিয়ে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য প্রশ্ন তোলেন, ‘২০১৭ সালে ভোটের আগে অবাধে কত গুন্ডা ঘোরাফেরা করত? বন্দুক হাতে জালিদার টপি পরা… ব্যবসায়ীদের কে হুমকি দিত?’ এরপরই তাঁর জিজ্ঞাস্য, ‘বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর এই ধরণের গুন্ডাদের আর দেখতে পান?’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন