পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভাগবন্ত মান শপথ নিয়েছিলেন আগেই। এবার নবনিযুক্ত মান মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন ১০ আপ বিধায়ক। শনিবার চণ্ডীগড়ে পাঞ্জাব রাজভবনে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত মান মন্ত্রিসভার এই ১০ ক্যাবিনেট সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন।
চিমা ছাড়াও এদিন মান মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন গুরমিত সিং মিত হায়ার, যিনি বার্নালা থেকে দ্বিতীয়বার জয়ী হয়েছেন। তিনিই মান মন্ত্রিসভায় একমাত্র দু'বারের বিধায়ক। এঁরা ছাড়াও এদিন মন্ত্রী হিসেবে যাঁরা শপথ নিয়েছেন তাঁরা হলেন, মালোটের ডাঃ বলজিৎ কৌর, জান্দিয়ালার হরভজন সিং ইটিও, মানসা থেকে ডাঃ বিজয় সিংলা, ভোয়ার লাল চাঁদ কাটারু চক, আজনালার কুলদীপ সিং ধলিওয়াল, পাট্টির লালজিৎ সিং ভুল্লর, হোসিয়ারপুরের ব্রম শঙ্কর (জিম্পা)-সহ আনন্দপুর সাহিবের হরজোত সিং বেন্স।
পাঞ্জাবে সদ্য গঠিত ভাগবন্ত মান ক্যাবিনেটে প্রথম তালিকায় চার তফসিলি জাতিভুক্ত বিধায়ককে আনা হয়েছে। মালওয়ার পাঁচ বিধায়ক মান মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব করছেন। এঁরা দিরবা, মালুত, মানসা, বার্নালা এবং আনন্দপুর সাহিব থেকে জিতেছেন। এছাড়াও মাঝার চার বিধায়ক জায়গা পেয়েছেন সদ্য গঠিত পাঞ্জাব মন্ত্রিসভায়। এঁরা জান্দিয়ালা, ভোয়া, আজনালা ও পট্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম তালিকায় পঞ্জাবের একমাত্র মহিলা মন্ত্রী দোয়াবা থেকে।
আরও পড়ুন- বলিউডের ‘নায়ক’ সিনেমার কায়দায় দুর্নীতি দমনে হেল্পলাইন পঞ্জাবের ভগবন্ত মানের
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই পাঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভাগবন্ত মান। শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বলিউডের ‘নায়ক’ সিনেমার কায়দায় দুর্নীতি দমনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করে দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। আগেই তিনি জানিয়েছেলেন, বড় ঘোষণা করতে চলেছেন। এমন ঘোষণা, যা এতদিন দেশে কোথাও হয়নি। পরে, দেখা গেল হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন তিনি।
রাজ্যে সরকার চালানোর দায়িত্ব পাঞ্জাববাসী এবার দিয়েছেন কেজরির দল আপ-কে। আম আদমি পার্টির হাত ধরেই দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে সীমান্তবর্তী এই রজ্য। অকালি দল, কংগ্রেসকে ক্ষমতার গলি থেকে বের করে দিয়ে রাজ্যের নেতৃত্বের দেওয়ার দায়িত্ব এবার কাঁধে তুলে নিয়েছে আম আদমি পার্টি। পাঞ্জাবে তৈরি হয়েছে নতুন ইতিহাস। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রাক্তন কমেডিয়ান ভগবন্ত মান। সফল কতটা হবেন, তা বলবে সময়।
Read story in English