বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে বিরোধীরা লড়াইয়ে না নামলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রসের একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন তেজস্বী যাদব। তিনি দাবি করেন, ‘দেশে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়তে ইস্যুর অভাব নেই। তাই বিরোধী দলগুলোর উচিত মতপার্থক্য এবং ইগো সরিয়ে বিজেপি-বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলা।‘ কেন্দ্র-বিরোধী কোনও মঞ্চের সুত্রধর হিসেবে কংগ্রেসকে প্রয়োজন। সেই অনুষ্ঠানে স্বীকার করে নিয়েছেন লালু-পুত্র।
তাঁর পরামর্শ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার এবং অখিলেশ যাদব কেন্দ্র-বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছেন। তাঁদের উচিত এগিয়ে এসে রাজ্য সফরে বেরিয়ে বিজেপি-বিরোধী মঞ্চকে শক্তিশালী করা।‘
বিহারের বিরোধী দলনেতার আশা, ‘আমি মনে করি কেন্দ্র-বিরোধী আন্দোলন দ্রুতই মাথাচাড়া দেবে। বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধিরা এক টেবিলে বসে কৌশল রচনা করবেন। যত দ্রুত সম্ভব সেই আলোচনার পথ এগিয়ে আনা উচিত।‘ আঞ্চলিক দলগুলোর কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমন দাবি করে তেজস্বী বলেন, ‘আমরা বিহারে সংঘবদ্ধ, কেউ বাংলায়, কেউ মহারাষ্ট্রে সংঘবদ্ধ। আমাদের উচিত প্রত্যেককে একজোট হওয়া। এগিয়ে এসে সব রাজ্য ঘুরে মানুষের কাছে যাওয়া। তাঁদের বলা আপনাদের এই সমস্যা নিয়ে আমরা আন্দোলনে করছি। বিজেপি আপনাদের এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু পালন করিনি। এভাবেই মানুষের মনে বিজেপি-বিরোধী একটা অবস্থান তৈরি করতে হবে।‘
লালুপুত্রের আশঙ্কা, ‘আমরা যদি মানুষকে বোঝাতে না পারি, তার মানে বিরোধী শিবির ঐক্যবদ্ধ নয়। কোথাও একটা গলদ রয়েছে। আমাদের দূরত্ব সরিয়ে এখনই প্রাপ্তির কথা না ভেবে এগিয়ে আসা উচিত। যদি দেশকে বাঁচান যায়, তাহলে নিশ্চয় কেউ একজন নেতা হিসেবে উঠে আসবেন। কিন্তু যদি বিজেপি আরও কয়েক বছর দেশ শাসন করে, তাহলে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন