গত রবিবারই চমকে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন রিপুন বোরা। শনিবার এই কংগ্রেস ত্যাগীকেই বসানো হল অসমের তৃণমূল সভাপতির পদে। এ দিন বিবৃতি জারি করে তৃণমূলের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। উত্তর-পূর্বে সংগঠন পোক্ত করতে মরিয়া বাংলার শাসক দল। ত্রিপুরা থেকে সেই কাজ শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়তেই মুকুল সাংমার নেতৃত্বে বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে তৃণমূল। এবার রিপুনকে হাতিয়ার করে অসমে জমি শক্ত করাই তৃণমূলের মূল লক্ষ্য।
রিপুন বোরা অসমের অন্যতম অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন কংগ্রেসি রাজনীতিতে যুক্ত। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেরাজ্যের মন্ত্রী পদও সামলেছেন। ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদও। এহেন নেতা রিপুন বোরার বিশাল অভিজ্ঞতাকে সংগঠন বিস্তারে কাজে লাগাতে মরিয়া মমতা, অভিষেকরা।
অসমের ভূমিকন্যা সুস্মিতা দেব আগেই কংগ্রেস ছেড়ে জোড়া-ফুলে নাম লিখিয়েছিলেন। তাঁকে রাজ্যসার সাংসদও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রিপুনকে করা হল রাজ্য সভাপতি। অর্থাৎ, ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসের বদলে তৃণমূলই যে অসমে বিজেপির বিকল্প ও তৃণমূল ভূমিপুত্রদের উপর ভরসা করতে রাজি, সেই বার্তাই যে দিতে চাইল এ রাজ্যের শাসক শিবির।
এখনও গুয়াহাটিতে তৃণমূলের কোনও দলী দফতর নেই। শীঘ্রই রাজ্যের রাজধানীতে রাজ্য সদর দফতর খোলার চেষ্টা করছে দল। সেখানেই হবে তৃণমূলের যাবতীয় কাজকর্ম। নতুন রাজ্য দপ্তর খোলার পর সেখানেই অন্য দল থেকে আসা নেতাদের যোগদান করানো হবে।নতুন রাজ্য দফতর খোলার পর সেখানেই অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রী, কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করানো হবে জানা গিয়েছে।