Mamata Banerjee Mega Rally Live Updates: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্রিগেড থেকে 'অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন/ বিজেপি-কে বাদ দিন' বলে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা একা নন, মোদী-শাহদের বিরুদ্ধে সরব হলেন দেশের একাধিক বিজেপি বিরোধী নেতা। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট সমাবেশ উপলক্ষে শহরের নিরাপত্তা ও যান চলাচলের নিয়মাবলী ঢেলে সাজায় লালবাজার। অনুষ্ঠান চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন খোদ নগরপাল রাজীব কুমার। তবে গতকাল থেকেই শহরকে নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ সমেত শহরে মোতায়েন ছিলেন প্রায় ১০,০০০ পুলিশকর্মী।
কে কে ছিলেন আজকের ব্রিগেডে? এইচ ডি দেবগৌড়া, ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মল্লিকার্জুন খাড়গে, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এইচ ডি কুমারস্বামী, শরদ যাদব, যশবন্ত সিনহা, অজিত সিং, অরুণ শৌরি, শত্রুঘ্ন সিনহা, এম কে স্ট্যালিন, তেজস্বী যাদব, শরদ পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, অখিলেশ যাদব, হেমন্ত সোরেন, হার্দিক প্যাটেল, জিগ্নেশ মেওয়ানি, বদরুদ্দিন। শোনা গিয়েছিল, আজকের সভায় তৃণমূলে যোগ দেবেন অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী ও সদ্য় বিজেপি ত্য়াগী গেগং আপাং।
3.50 pm: স্লোগান ও জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে সভা শেষ হলো।
The historic #UnitedIndiaAtBrigade rally ends with the slogan "Badal do, badal do, Dilli mein sarkar badal do" pic.twitter.com/yfIyMZX9Zq
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 19, 2019
3.45 pm: "পকেটে চাকরি নেই, ওরা সংরক্ষণ করছে। দু'কোটি বেকার আজ দেশ জুড়ে। আজকের ব্রিগেড বিজেপির শেষের শুরু। আগামীদিনে যেখানে বিজেপি সভা করবে, তার পরের দিনই সেখানে মিটিং করবেন, রাজনৈতিক উত্তর দেবেন।"
3.41 pm: "এখন নির্বাচন আসছে তাই আপনারা সামগ্রিক নেতৃত্বের কথা বলছেন, নির্বাচনে জিতে গেলেই আবার সবাইকে ফেলে দেবেন। সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং, নীতিন গাডকারিকে সন্মান দিয়েছে বিজেপি? শত্রুঘ্ন জি, যশবন্ত জিকে সন্মান দিয়েছে? আজকে কেন ২৩-২৪ টা দল বিজেপির বিরুদ্ধে?"
#UnitedIndiaAtBrigade অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, এবার বিজেপিকে বাদ দিন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দেখুন লাইভ >> https://t.co/IjQtPwzly7 pic.twitter.com/xGztgSVjGM
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 19, 2019
3.40 pm: "এই জোটে সবাই নেতা," বললেন মমতা। "আমি কথা দিচ্ছি, এরাজ্যে ফাইভ-স্টার রথ চালাতে পারব না। আচ্ছে দিন আনার অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন, সেই সুযোগ হারিয়েছেন, কারণ আপনারা কাউকে কেয়ার করেন নি। অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, এবার বিজেপিকে বাদ দিন। দেশকে ভালো রাখতে চাইলে বিজেপিকে বাদ দিন।"
3.25 pm: অবশেষে তাঁর ভাষণ শুরু করলেন মমতা। বললেন, "মোদীবাবুর এক্সপায়ারি ডেট এসে গেছে। ব্যাঙ্কে ধ্বস, সিবিআই-তে ধ্বস, সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ধ্বস, শুধু বিজেপি বস, এভাবে চলতে পারে? রাজনীতিতে একটা কারটসি আছে, লক্ষণরেখা আছে, বিজেপি সেটা মানে না। আপনাদের সঙ্গে থাকলে সৎ, আপনাদের বিরুদ্ধে গেলেই চোর?"
3.20 pm: "চৌকিদার জিকে বলতে চাই, আপনি চৌকিদার হলে দেশের জনতা থানাদার," বললেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। "বিজেপির বিরুদ্ধে গেলেই আপনার পেছনে লাগবে বিজেপির জোট সঙ্গী সিবিআই বা ইডি, যেমন আমার বাবার পেছনে লেগেছে। দেশের আজ তলোয়ারের নয়, সূচের প্রয়োজন, কারণ দেশ ছেঁড়া কাপড়ের মতোই ছিঁড়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ বাসী সমস্ত বিহারি ভাইবোনকে বলছি, মোদী আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।"
3.10 pm: "সত্য গোপন করলে দেশের জনতা তো বলবেই, 'চৌকিদার চোর হ্যায়'। রাফালে চুক্তির কথাই ধরুন, সত্যিটা বলছেন না কেন মোদী? নিজের দেশের প্রতিষ্ঠিত সংস্থাকে বিমান কেনার বরাত না দিয়ে কেন এমন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হলো, যারা আজ পর্যন্ত একটা সাইকেলের চাকাও বানায় নি? আবার নির্বাচন আসছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি আর পারফরম্যান্স মিলছে না যে। এরা এমন হয়ে গেছে, যে নদী না থাকলেও সেতু বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেবে। ভোটে জেতাই লক্ষ্য। আমি এর আগে শোনা একটা কথা আবার বলতে চাই, মতভেদ থাক, মনের কোনও ভেদ যেন না থাকে," বললেন শত্রুঘ্ন।
#UnitedIndiaAtBrigade @ShatruganSinha says: "Isse zyada jaandar, shaandar aur damdaar rally maine kabhi nahin dekha"
WATCH LIVE >> https://t.co/IjQtPwzly7 pic.twitter.com/BjY50nf49k
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 19, 2019
3.00 pm: মঞ্চে 'বিহারি বাবু' তথা বিক্ষুব্ধ বিজেপি সদস্য শত্রুঘ্ন সিনহা। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে শুরুতেই বললেন, "বহুত জান হ্যায় আপ সব মে।" এরপর তিনি আরও বললেন, "আমাকে সবাই জিজ্ঞেস করেন, আমি বিজেপিতে থেকেও বিজেপির বিরুদ্ধে বলি কেন, আমি কি বিশ্বাসঘাতক? আমার কথা হলো, সত্যি কথা বলাটা যদি বিশ্বাসঘাতকতা হয়, তবে আমি বিশ্বাসঘাতক। মানুষের ওপর বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। অটলবিহারি বাজপেয়ীর বিজেপির সঙ্গে এই বিজেপির প্রধান পার্থক্য এই যে, অটলজির সময় লোকতন্ত্র ছিল। আমাকে যশবন্ত সিং একটু আগেই বললেন, এরপর আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাতে কিছু এসে যায় না।"
2.55 pm: মানুষের ভিড়ে প্রায় ১৫ মিনিট বন্ধ রইল ময়দান মেট্রো স্টেশনের গেট। সঞ্চালিকার ভূমিকায় মমতা এর আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, বিকেল চারটের আগে ব্রিগেড থেকে কোনও গাড়ি ছাড়বে না।
2.35 pm: "মোদী বলেন, খাবও না, খেতে দেবও না। আপনি খাচ্ছেন না হয় তো, কিন্তু আপনার বন্ধু শিল্পপতিদের খাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। ১ কোটি ৬০ লক্ষ চাকরি খোয়া গেছে, কথা ছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার। কিন্তু বিজেপির লক্ষ্য একটাই, কীভাবে ২০১৯-এ আবার ক্ষমতায় আসা যায়। সেই উদ্দেশ্যে দেশের সংবিধান নিয়ে এরা ছেলেখেলা করছে, সমাজ ভেঙ্গেচুরে একাকার করছে। ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতেই হবে," বললেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, যিনি ভাষণের শুরুতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বার্তা পড়ে শোনালেন।
2.30 pm: "এত বিপুল সংখ্যায় মানুষ দেখে আমাদের সবার উনিশ-টা বেজে গেছে," বলে শুরু করলেন শরদ পাওয়ার। "আমার জীবনে আমি চারবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি, কেন্দ্রীয় সরকারে কাজ করেছি। আমার কিচ্ছু পাওয়ার নেই আর, কিন্তু বিজেপি সরকারকে সরাতে হবেই, একমাত্র এই লক্ষ্যে আজ এখানে এসেছি। আমাদের যদি সুযোগ দেন, আমি কথা দিচ্ছি, একে অন্যের হাত আমরা ছাড়ব না।"
#UnitedIndiaAtBrigade @NCPspeaks leader @PawarSpeaks says: "Your show of unity today is giving us hope. I congratulate @MamataOfficial for organising this meet"
WATCH LIVE >> https://t.co/IjQtPwzly7 pic.twitter.com/QeoV7g4WAx
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 19, 2019
2.20 pm: "পৃথিবীর কোনও দেশে ইভিএম মেশিনে ভোট হয় না, আমাদের উচিত আবার ব্যালট পেপারে ফিরে যাওয়া। এর পরে আমরা অমরাবতীতে এই ধরনের একটি সভা করব, সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম," বললেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। একইসঙ্গে অরবিন্দ যোগ করলেন, দিল্লিতেও হবে এইরকম মহাসভা।
2.00 pm: "গত ৭০ বছরে পাকিস্তান যা পারে নি, পাঁচ বছরে মোদী-শাহ করে দেখালেন। দেশকে টুকরো টুকরো করে ফেললেন। এই দেশের সংবিধান পাল্টাতে চান ওঁরা, হিটলারের মত, সারাজীবন রাজত্ব করতে চান। ২০১৯ এর নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী বাছার নয়, মোদী-শাহকে তাড়ানোর। যে কোনোভাবে হোক, ওঁদের তাড়ান, নয় তো দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে," বললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। "নোট বাতিল করে দেশের চূড়ান্ত ক্ষতি করেছে মোদী সরকার। কৃষকদের শষ্য বীমা করেছে মোদীর বন্ধুদের কোম্পানি। কৃষকরা বিমা কোম্পানি থেকে কোনও সুবিধা পান নি। দলিতদের উপর অত্যাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মুসলমানদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে।"
1.55 pm: "উত্তর প্রদেশ থেকে যে জোট বাঁধা শুরু হয়েছে, তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। তামিল নাড়ু যদি বিজেপিকে জিরো করতে পারে, আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে তা করার। বিজেপি আমাদের বলছে, আমাদের জোটে নাকি অনেক প্রধানমন্ত্রীর দাবীদার। আমি জানতে চাই, আপনাদের কাছে একজন ফেল হয়ে যাওয়া, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কে আছেন?" প্রশ্ন তুললেন অখিলেশ যাদব। "আমি বলছি, জনতাই ঠিক করে দেবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।"
1.40 pm: "কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা না দেখতে পাচ্ছে, না শুনতে পাচ্ছে। নোট বাতিলের ফলে আমরা বিভিন্ন দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প চালু করতে পারছি না। বিজেপি সরকারের নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশের দরিদ্রতম কৃষকরা। আমাদের অন্নদাতারা আজ অবহেলিত," বললেন কুমারস্বামী। "আমার রাজ্য কর্ণাটকে সরাসরি ক্যাশ টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনতে চাইছে বিজেপি। গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে। আমি বলব, আঞ্চলিক দলগুলি দেখিয়ে দিক, যে বিজেপি কাগজের বাঘ।"
1.35 pm: মঞ্চে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তাঁকে আহ্বান জানিয়ে মমতা বললেন, "তাঁর রাজ্যে এই মুহূর্তে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি, তা সত্ত্বেও উনি এখানে এসেছেন, আমরা কৃতজ্ঞ।" কুমারস্বামী বললেন, "এই সবে পথচলা শুরু, আরও অনেক রাস্তা একসঙ্গে চলব আমরা। দিদি দেশের রোল মডেল।"
1.15 pm: "মোদীর সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত শ্ত্রুতা নেই আমার্, কিন্তু দেশের সর্বনাশ ডেকে আনছেন উনি, আমার সমস্যা সেখানে। কিছুদিন আগেও তিনি বলতেন, তাঁর কোনও বিরোধী নেই, আজ একটি সভাও শুরু করতে পারেন না বিরোধীদের গালাগালি না করে। আমাদের একজোট হতে দেখে ওরা ভয় পেয়ে গেছে," বললেন স্ট্যালিন। "বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে আমাদের দেশ পঞ্চাশ বছর পিছিয়ে যাবে। মোদী-অমিত শাহ বাংলার মাটিতে পা দিতে ভয় পান। যে ক'জন নেতাকে মোদী-শাহ ভয় পান, তাঁদের মধ্যে মমতা অন্যতম।"
1.10 pm: তামিলে নিজের বক্তব্য শুরু করার আগে এম কে স্ট্যালিন বললেন, "বাংলার বাঘিনী এবং আমার বোন মমতা ব্যানার্জিকে আমার অভিনন্দন। রাজনীতি, ইতিহাস, পুজো, সবেতেই তামিল এবং বাঙালী ভাইবোনের মতো। দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আজ আমি এখানে এসেছি। আগামী মে মাসের সাধারণ নির্বাচনকে আমি স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবেই দেখছি। আমার একটাই বার্তা - বিজেপি হটাও, মোদীকে বাড়ি পাঠাও, দেশকে বাঁচাও।"
#UnitedIndiaAtBrigade President of @arivalayam, @mkstalin says: "The upcoming general elections in May will be the second freedom struggle of the country"
WATCH LIVE >> https://t.co/IjQtPwzly7 pic.twitter.com/UFnIxMsu4h
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 19, 2019
1.05 pm: "আমি নিশ্চয়ই মুসলমান। কিন্তু, অবশ্যই ভারতীয়। প্রত্যেক কাশ্মীরি আপনাদের সঙ্গে থাকতে চায়, কাশ্মীরে আসুন, বাঙালিদের কাছে আমার অনুরোধ। ভারতের সঙ্গে থাকতে চায়। দেশে ধর্মের নামে বিভাজন চলছে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে আমাদের কুরবানি দিতে হবে। আমরা একে অপরের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট লড়ব। ইভিএম চোর মেশিন। এই মেশিন খতম করুন। বিশ্বের কোথাও এই মেশিন নেই। আমাদের ইলেকশন কমিশনে যেতে হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে ইভিএমের বিরুদ্ধে। হিন্দুস্তানকে মজবুত করুন, এয়ার ফোর্স দিয়ে বা সেনাবাহিনী দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে," বললেন ফারুক আবদুল্লা।
12.50 pm: এই মঞ্চে আজ রাজনীতির রামধনু, বললেন কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। "বিজেপি বারবার ভোট বিভাজনের ফায়দা তুলছে। ভোট ভাগাভাগি রুখতে পারলেই ওদের হারানো সহজ," বললেন তিনি। "আমাদের জোট নিয়ে হাসাহাসি করছেন, দেশের সবচেয়ে অনৈতিক জোট তো আপনারা করেছিলেন কাশ্মীরে। তা নয়, বলতে হবে তুসসি গ্রেট হো, তাহলেই সমস্যা নেই।"
12.40 pm: "আজ পর্যন্ত দেশে রাফালের মতো কেলেঙ্কারি হয় নি। এই সরকারকে সরানো পাখির চোখ করুন, অর্জুন হয়ে যান। কারণ এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য যা খুশি করতে পারে। আজ কর্ণাটকে যা হচ্ছে, কাল মধ্য প্রদেশে হবে। বিধায়ক কেনাবেচা হবে। এই কাজে ঐক্যবদ্ধ থাকুন, বাংলার বাঘিনী যে কাজ হাতে নিয়েছেন, তাতে তাঁকে সমর্থন করুন। ক্ষমতায় আসার লোভে বিজেপির বিরোধিতা করবেন না, ত্যাগের ভাবনা আনুন। প্রতিটি আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে একজন প্রার্থী দিন, যাতে ভোট বিভাজন না হয়," বললেন একদা বিজেপি সরকারের বিলগ্নিকরণ মন্ত্রী অরুণ শৌরি।
12.35 pm: যশবন্ত বললেন, "আমার জীবনে আর বিশেষ কোনও চাহিদা নেই। কিন্তু এই সরকারকে সরাতে হবে। সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের মুখে।" তাঁর ভাষণ শেষে মমতা আহ্বান জানালেন অরুণ শৌরিকে, আরও একবার দর্শকদের ধৈর্য ধরতে বললেন।
12.30 pm: বলছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। "এই লড়াই কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, একটি মতাদর্শের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও সরকার পরিসংখ্যান নিয়ে ছেলেখেলা করছে। জেনেশুনে পরিসংখ্যান বদলে দিচ্ছে যাতে দেশের আসল আর্থিক বা সামাজিক চিত্রটা বোঝা না যায়।"
12.25 pm: "৫৬ ইঞ্চির ছাতি হলে মনটাও অতটাই বড় হওয়া উচিত। নোট বাতিল করে যে ভুল করেছেন, তার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন," বললেন উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দলের নেতা অজিত সিংয়ের পুত্র জয়ন্ত সিং। তিনি আরও বললেন, "ইয়ে র্যালি নেহী, রেলা হ্যায়।"
12.05 pm: মঞ্চে অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, যাঁর আজ তৃণমূল কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার কথা। তাঁকে বক্তব্য রাখতে আহ্বান করে মমতা বললেন, "আমি আজকে সবার শেষে বলব, আজকে সবাই অতিথি, তাঁরা আগে বলবেন।"
12.00 pm: "আঞ্চলিক দলগুলিই বিজেপিকে মুখের মতো জবাব দিতে পারবে," বললেন ঝাড়খণ্ডের নেতা হেমন্ত সোরেন। "দেশকে বাঁচাতে ২০১৯ এ আদিবাসীদের ও দলিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে।"
11.55 am: জিগ্নেশ প্রত্যাশিতভাবেই দেশের দলিত ও কৃষক সম্প্রদায়ের বঞ্চনার কথা বললেন। সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি এও জানালেন, "মানুষ বিচার চান, মোদীর বিচার চান।"
11.50 am: প্রথম বক্তা তরুণ গুজরাতি নেতা হার্দিক প্যাটেল। সঞ্চালিকার ভূমিকায় মমতা, মঞ্চে ডাকলেন জিগ্নেশ প্যাটেলকে। হার্দিক বলে গেলেন, "চোরদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে, গুণ্ডাদের দেশ থেকে তাড়াতে হবে। মনে রাখবেন সুভাষবাবু (নেতাজী) লড়েছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে।"
11.47 am: মঞ্চে উঠলেন মমতা, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব। বক্তার সংখ্যা বেশি থাকায় সময়ের আগেই শুরু হয়ে গেল মহা সমাবেশ।
11.40 am: মঞ্চে কবিতা পাঠ করতে উঠলেন শ্রীজাত। তারপর এলেন নচিকেতা। একইসঙ্গে সভাস্থলে পৌঁছলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব।
Lakhs and lakhs of people are on their way to #UnitedIndiaAtBrigade rally. One hour to go... pic.twitter.com/ayYmXCM7k0
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 19, 2019
11.25 am: মঞ্চে গান গাইলেন ভূমি ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য সৌমিত্র। ইতিমধ্যে মানুষের ঢল অব্যাহত। কাতারে কাতারে মানুষ সমাবেশে যোগ দিতে ব্রিগেডমুখি। সৌমিত্রর পর মঞ্চে উঠলেন কবীর সুমন। গাইলেন, 'হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে/ দেখা হবে তোমায় আমায় বিজেপি-হীন ভোরে।' বললেন, "বিজেপি-কে ঠেঙিয়ে তাড়াতে হবে।"
11.20 am: জেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের খবর, ব্রিগেডে মহা সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে লক্ষ লক্ষ মানুষ পাড়ি দিয়েছেন কলকাতার পথে। যার ফলে প্রায় জনশূন্য একাধিক অতি ব্যস্ত এলাকা।
11.00 am: সঙ্গীত পরিবেশন করছে পরিবর্তন গোষ্ঠী, ইতিমধ্যে সভাস্থলে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সী।
Lakhs and lakhs of people are on their way to #UnitedIndiaAtBrigade rally. One hour to go... pic.twitter.com/ayYmXCM7k0
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 19, 2019
10.55 am: এক ঝাঁক টলি তারকার পাশাপাশি পাঁচটি মঞ্চের একটিতে দেখা যাচ্ছে কবি শ্রীজাতকে। সম্প্রতি আসামের শিলচরে এক সভায় আমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে হেনস্থা হন শ্রীজাত। সেসময় তাঁর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
10.35 am: সভাস্থলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে ব্রিগেডে পৌঁছচ্ছেন সমর্থকরা। ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকার আনন্দ সকলের চোখে মুখে।
10.30 am: আজ সকাল থেকেই ব্যাহত শহরের স্বাভাবিক যান চলাচল। বাস বা অন্যান্য সাধারণ যানবাহন ধরতে রীতিমত হিমসিম খেয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। রাস্তাঘাটে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাস, ট্যাক্সি, অটো নেই বললেই চলে।
ব্রিগেডে যাওয়ার প্রাক্কালে শিয়ালদহ চত্বরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। pic.twitter.com/iSTHc6WKnk
— IE Bangla (@ieBangla) January 19, 2019
10.25 am: ইতিমধ্যেই সভাস্থলে হাজির তৃণমূলের প্রায় সব বিধায়ক। পৌঁছে গেছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও। দেখা যাচ্ছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ইদ্রিস আলি, অপরূপা পোদ্দারকে।
10.20 am: অনুষ্ঠান চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন খোদ নগরপাল রাজীব কুমার। তবে কাল থেকেই শহরকে নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলছে কলকাতা পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ সমেত শহরে মোতায়েন থাকছেন প্রায় ১০,০০০ পুলিশকর্মী।
জনসভায় বক্তব্য় রাখবেন ২২ জন বক্তা। সভাস্থলে পাঁচটি মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। সভামঞ্চে এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিন থাকছে। যাতে দূর থেকেও উপস্থিত কর্মী-সমর্থকরা সভার কার্যক্রম চাক্ষুষ করতে পারেন ওই স্ক্রিনের মাধ্য়মে। ড্রোনের সাহায্য়ে লাইভ ছবিও তোলা হবে।
সূত্রের খবর, ৫০ লক্ষ মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা ব্রিগেডে। এই সংখ্যা অতিরঞ্জিত হতে পারে, কিন্তু জনসমাগম যে বিপুল সংখ্যায় হবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। মাঠে ঢোকার জন্য সাতটা প্রবেশপথ করা হচ্ছে। কোন মিছিল কোন প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকবে, তা নির্ধারিত করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া হচ্ছে তিনটি স্থান। কলকাতার দিক থেকে আসা সব গাড়ি পার্ক করা হবে গণেশ অ্যাভিনিউ-তে। দক্ষিণ কলকাতার দিক থেকে আসা গাড়িগুলির জন্য নির্ধারিত পার্কিং লট খিদিরপুর ও হাজরা মোড়। হাওড়া থেকে আসা গাড়িগুলির জন্য কোণা এক্সপ্রেসওয়েতে থাকছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।