রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউএফআই) প্রধান এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) লোকসভা সাংসদ ব্রিজভূষণ সিং ১১ জুন উত্তরপ্রদেশের কায়সরগঞ্জের কাটরা এলাকায় দলীয় সমাবেশে ভাষণ দেবেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির মহাসম্পর্ক অভিযানের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। সিং এর আগে ৫ জানুয়ারি অযোধ্যায় তাঁর চেতনা মহাসভা স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। একজন নাবালক-সহ সাত মহিলা কুস্তিগির তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। সেই বিষয়ে পুলিশি তদন্ত এবং 'সুপ্রিম কোর্টের গুরুতর নির্দেশ'-এর কথা বলে সমাবেশ পিছিয়ে দিয়েছিলেন।
শুক্রবার এই প্রসঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে ব্রিজভূষণ বলেছিলেন, 'সমাজে ছড়িয়ে পড়া অশুভ প্রভাবের কথা বিবেচনা করে ৫ জুন অযোধ্যায় একটি সন্ত সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখন যেহেতু পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করছে এবং সুপ্রিম কোর্টের গুরুতর নির্দেশনা রয়েছে, তাকে সম্মান করে, ৫ জুনের অযোধ্যা চলো জন চেতনা মহারালি কর্মসূচি কয়েক দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।' একইসঙ্গে ব্রিজভূষণ দাবি করেছিলেন যে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছে। তবে, ব্রিজভূষণ সমাবেশের কথা বললেও অযোধ্যার জেলাশাসক নীতীশ কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কেউ সভা করার অনুমতি চায়নি।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল চলছিল ১২৮ কিলোমিটার বেগে, জানাল রেলবোর্ড
এই পরিস্থিতিতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন আন্তর্জাতিক পদকজয়ী জাতীয়স্তরের কুস্তিগিররা। তাঁরা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে চরম সময়সীমাও দিয়েছেন। এর আগে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তাঁদের অর্জিত পদকগুলো গঙ্গায় বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। পালটা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও সেই ধৈর্য ধরার পরামর্শ আসলে সময় কেনার চেষ্টা বলেই অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় দিল্লি পুলিশ কুস্তিগিরদের বারবার হেনস্তা করেছে। সংবাদমাধ্যমের দৌলতে সেই দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ববাসী।