২০১১ সালের বিশ্বকাপ মাতিয়ে দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। তবে যুবরাজ নয়। ধোনির পছন্দ ছিল সুরেশ রায়না। তবে রায়না নয় স্কোয়াডে ধোনির অনিচ্ছা সত্ত্বেও জায়গা পেয়েছিলেন যুবি। তিনিই এমনটা জানালেন।
স্পোর্টসটক এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ জানিয়েছেন, "সুরেশ রায়না সেই সময় দলে যথেষ্ট সাপোর্ট পেত। কারণ ওর মাথায় হাত ছিল স্বয়ং ধোনির। প্রত্যেক ক্যাপ্টেনেরই একজন ফেভারিট ক্রিকেটার থাকে। ধোনির ছিল রায়না।"
যুবরাজ আরো জানিয়েছেন, "ইউসুফ পাঠান সেই সময় ব্যাট হাতে ফর্মে ছিল। আমি ব্যাটের পাশাপাশি উইকেটও পাচ্ছিলাম। রায়না সেই সময় যদিও খেলতে পারছিল না।"
রায়নাকে খেলানোর ইচ্ছে থাকলেও ধোনি কেবলমাত্র ফর্মের জন্য যুবরাজকে নিতে বাধ্য হয়েছিল। সেকথা জানিয়ে বাঁ হাতি তারকা বলেন, "সেই সময় দলে কোনো বাঁ হাতি স্পিনার ছিল না। আমি উইকেট পাচ্ছিলাম। তাই আমাকে প্রথম একাদশে নিতে বাধ্য হয় ধোনি।"
ঘটনাচক্রে, রায়না, যুবরাজ, পাঠান তিনজন ই বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে জায়গা পায়। যদিও টুর্নামেন্ট এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে প্রথম একাদশে জায়গা হারান ইউসুফ পাঠান।
৩০৪টি ওডিআই ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলে ৮৭০১ রান তাঁর দখলে। এর মধ্যে ১৪টি শতরানও হাঁকিয়েছেন। তবে যুবরাজের সেরা কীর্তি ২০১১ বিশ্বকাপ একাই মাতিয়ে দেওয়া। ব্যাটে বলে অনবদ্য পারফরম্যান্স করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।
যুবরাজ ব্রডের ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকানোর পরের ঘটনাও ব্যক্ত করেছেন। "সেই সময় অস্ট্রেলিয়ান কোচ আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেছিল আমার ব্যাটের পিছনে ফাইবার লাগানো আছে কিনা! যদি থাকে তা বৈধ কিনা! কিংবা ম্যাচ রেফারি চেক করেছেন কিনা! আমি ব্যাট দিয়ে বলেছিলাম পরীক্ষা করে আনতে।"
এরপরে যুবির আরো সংযোজন, "এমনকি এডাম গিলক্রিস্ট এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমাদের ব্যাট কে তৈরি করে। ম্যাচ রেফারি আমাদের ব্যাট পরীক্ষা করেছিলেন। সেই ব্যাট আর ২০১১সালের ব্যাট আমার কাছে সবসময় স্পেশাল।"
সেই সাক্ষাৎকরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও প্রশংসা করেছেন যথারীতি। যুবি জানিয়েছেন, "দাদা সবসময় আমার ফেভারিট ক্যাপ্টেন। সবথেকে বেশি আমাকে সাহায্য করেছে। আমাদের বয়স কম ছিল। সেই প্রতিভা ঠিকমত প্রকাশ করার সুযোগ দিয়েছিল।"