হকি টুর্নামেন্টে নামতে হলে নিজেদের ফোনে আরোগ্য সেতু এপ ইনস্টল করতেই হবে। জাতীয় হকি সংস্থা এই বিষয়ে বাধ্যতামূলক নির্দেশ জারি করল। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সমস্ত স্টাফদেরও এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হকি ইন্ডিয়ার তরফে ২০ পাতার সেই গাইডলাইন প্রত্যেক রাজ্যসংস্থার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে, খেলতে নামার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কেবলমাত্র তাঁদেরই খেলার অনুমতি দেওয়া হবে যাঁরা 'লো রিস্ক' অথবা 'নিরাপদ' ক্যাটাগরির।
সেই নির্দেশিকা পত্রে বলা হয়েছে, "টুর্নামেন্ট খেলতে রওনা দেওয়ার আগে প্রত্যেক খেলোয়াড় ও স্টাফদের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখতে হবে আরোগ্য সেতু এপ এ। 'সেফ' এবং 'লো রিস্ক' থাকলে তবেই ভ্রমণ করা উচিত। সদস্যদের জানানো হচ্ছে কেউ যদি হাই রিস্ক কিংবা মধ্যম মানের ঝুঁকি বহন করছে, তাঁকে কোনো ভাবেই বাকিদের সঙ্গে ট্র্যাভেল করতে দেওয়া উচিত নয়।"
আরো যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তা হলো অনুশীলনের সময় মাঠে ফাইভ-আ-সাইড ম্যাচ খেলা যেতে পারে। পূর্ণাঙ্গ একটি মাঠকে চারভাগে ভাগ করে প্রতিটি অংশে ৩-৪ জন অনুশীলন করতে পারবে।
অনুশীলনের সময় স্টাফ এবং খেলোয়াড়রা ছাড়া আর কাউকেই মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করতে হবে সবসময়। পুরো প্রস্তুতির পোশাক পরে অনুশীলন করতে হবে। বলকে সানিটাইজ করতে হবে। কারোর উপসর্গ দেখা গেলেই তাঁকে আলাদা করে ফেলতে হবে।
খেলায় অথবা অনুশীলনে হাই ফাইভ, একসঙ্গে সেলিব্রেশন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাঠে দর্শক থাকলে প্রত্যেকের মধ্যে নুন্যতম ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
অনুশীলনের সময় গাইডলাইন দেওয়া হলেও জাতীয় দলের ক্ষেত্রে কি করা হবে, তা স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
বেঙ্গালুরুর সাইয়ের ক্যাম্পে অনেক পুরুষ ও মহিলা হকি প্লেয়ার আটকা রয়েছেন মার্চ মাস থেকে। দুই দলের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সাক্ষাতের কথা বৃহস্পতিবার। সেখানেই পুনরায় অনুশীলন চালু করার অনুমতি চাইতে পারেন খেলোয়াড়রা।
কিরেন রিজিজু আগেই বলেছেন, ধাপে ধাপে অনুশীলন চালু করার ব্যবস্থা করা হবে। সেই ক্যাম্পাসে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করে ফেলা ক্রীড়াবিদদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।