Harbhajan Singh slams BCCI: ভারতের বিরুদ্ধে টানা দুটো টেস্ট জিতে ১২ বছর রোহিতদের অপরাজেয় থাকার তকমা ঘুচিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টেস্ট সিরিজ জুড়ে স্পিন বা পেসে ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ম্যাট হেনরি, স্যান্টনাররা।
প্ৰথম টেস্টে সিম সহায়ক পরিবেশে ভারত মাত্র ৪৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় টেস্টে টার্নার বানিয়েও লাভ হয়নি। কোহলি-রোহিতদের টেকনিকের দুর্বলতা বেআব্রু করে দিয়েছেন কিউই বোলাররা। ১২ বছর ধরে স্পিন সহায়ক পিচ বানিয়েই টানা ১৮ টেস্ট সিরিজ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এবার নিজেদের শক্তিই যেন দুর্বলতা হয়ে দাঁড়াল।
আর দেশের মাটিতে জোড়া টেস্ট সমেত সিরিজ হারের পর হরভজন একহাত নিয়েছেন বিসিসিআইয়ের নীতিকে। বলে দিয়েছেন, বোর্ডের রাঙ্ক টার্নার নীতিতে রাহানের মত ক্রিকেটারের কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ভাজ্জি সাফ বলে দিয়েছেন, "গত একদশকের ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাক- আমরা টার্নারে খেলেছি। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ৩০০ প্লাস স্কোর করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেব, এমন আশা নিয়েই এমন স্ট্র্যাটেজি কষা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না, আমাদের ব্যাটারদের সেই দক্ষতা রয়েছে কিনা! এরকম পিচে খেলে আমাদের অধিকাংশ ব্যাটারের আত্মবিশ্বাস চুরমার হয়ে গিয়েছে।"
"এর সবথেকে বড় উদাহরণ হল, অজিঙ্কা রাহানে। ও দারুণ প্লেয়ার। তবে এরকম সারফেসে খেলে খেলে ওঁর কেরিয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে।" কীভাবে এরকম স্পিনিং স্ট্র্যাটেজি ব্যাটারদের কেরিয়ার নষ্ট করে দিয়েছে, সেই ব্যাখা দিয়ে ভাজ্জির সংযোজন, "এরকম ট্র্যাকে তিনটে খারাপ টেস্ট খেলল ভারত। নির্বাচকরা ভালো ক্রিকেটারদের নিয়ে এখানে খেলতে আসেন। তারপর হঠাৎ করেই রান করতে না পারলে মানসিকতা ধাক্কা খায়। তারপর বিদেশের মাটিতে বেশ কয়েকটা সিরিজে ব্যর্থ হলেই বাদ পড়তে হয়। এটা কি ভালো লক্ষণ?"
রাহানে ভরসা জাগানোর মত ব্যাটার হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর আর জাতীয় দলে জায়গা পাননি। ঘরের মাঠে ৩২ টেস্টে রাহানে ১৬৪৪ রান করেছেন ৩৫.৭৩ গড় সমেত। চারটে সেঞ্চুরির পাশাপাশি আটটা অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। তবে বিদেশে রাহানেত ট্র্যাক রেকর্ড তুলনামূলকভাবে ভালো।
"ঘরের মাটিতে কোনও দলের যদি দারুণ রেকর্ড থাকে এবং তারপর যদি হারতে হয়, তাহলে কথাবার্তা উঠবেই। যেভাবে নিউজিল্যান্ড খেলল, তাতে ওঁদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। ভিন দেশের কন্ডিশনে খেলতে নামতে হয়েছিল। এরকম পিচ খারাপ থেকে খারাপতর হয়- এমনটা নয়। এটা সেই অর্ডারি পিচ যেখানে বল প্ৰথম সেশন থেকেই টার্ন করবে।" বলছেন তিনি।
হরভজন ব্যাটে-বলে ভারসাম্যের জন্য সেনা দেশের পিচের উদাহরণ দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, "সেনা দেশেও হোম টিম সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে ওগুলো ব্যাটারদের জন্য বধ্যভূমি মোটেও নয়। এই পিচে কোন বল টার্ন করবে, কোনটা সোজা আসবে- সেটা আন্দাজ করাই মুশকিল। এরকম পিচে আক্রমণ নাকি রক্ষণ- সবসময় এই সংশয়ে ভুগতে হয় ব্যাটারদের। এমনকি বিরাট কোহলিও বিদেশে সাম্প্রতিককালে সফল।"