অশোক দিন্দা আইপিএলে খেলছেন না। বলা ভাল, কোনও দলে সুযোগ পাননি। তা সত্ত্বেও আইপিএলের মাঝপথে শিরোনামে বাংলার তারকা পেসার। তাঁকে নিয়েই এবার মস্করা করল আরসিবি। পরে বিতর্ক ঘনিয়ে উঠছে বুঝে সেই টুইট ডিলিটও করে ফেলা হল সঙ্গেসঙ্গে। সবমিলিয়ে আরসিবি বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচের মধ্যেই হঠাৎ প্রাসঙ্গিক অশোক দিন্দা।
বল করতে এসে প্রচুর রান খরচ করার কারণে প্রায়ই অশোক দিন্দা ট্রোলিংয়ের শিকার হন। জাতীয় দল হোক বা আইপিএলে খেলার সময়ে দিন্দার বিরুদ্ধে 'খরুচে' বিশেষণ বসেছে প্রায়ই। দিন্দার এই 'সুখ্যাতি'র কারণেই কোনও বোলার বেশি রান খরচ করলেই উঠে আসে দুটো শব্দ- 'দিন্দাস অ্যাকাডেমি'।
তেমনই ঘটনা ঘটল আরসিবি বনাম কিংস ম্যাচে। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে একসময় প্রায় জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তবে ডেথ ওভারে দুর্ধর্ষ বোলিং করেন উমেশ যাদব। নিজের এক ওভারে পরপর ফিরিয়ে দেন ক্রিজে জমে যাওয়া পুরান ও মিলারকে। সেই সময়েই মস্করা করে আরসিবি-র টুইটে লেখা হয়, 'দিন্দাস অ্যাকাডেমি? হোয়্য়াটস দ্যাট?'
আরসিবির সেই বিতর্কিত টুইট
আসলে উমেশ যাদবেরও খরুচে বলে বদনাম রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই উমেশকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং চলছিল, উনি অশোক দিন্দা অ্যাকাডেমির 'ছাত্র' বলে! সেই প্রসঙ্গ নস্যাৎ করেই আরসিবি-র টুইটে জানানো হয়েছিল, উমেশ মোটেই দিন্দা-র অ্যাকাডেমির ছাত্র নন! কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বাংলার তারকা ক্রিকেটারকে অপমান করার মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরুতর অভিযোগ উঠে গিয়েছে।
সেই ঘটনা অনুধাবন করেই তড়িঘড়ি আরসিবির পক্ষ থেকে সেই টুইট মুছে ফেলা হয়। দ্বিতীয় একটি টুইটে ক্ষমাপ্রকাশের ভঙ্গিতে লেখা হয়, "অনেকেই জানিয়েছেন, আগের টুইটটি বেশ খারাপ ছিল। যাইহোক, যাঁরা এতদিন ধরে উমেশকে ট্রোল করে এসেছেন, তাঁদের দেওয়া চ্যালেঞ্জই গ্রহণ করেছিল উমেশ।"