ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফর্ম্যাট অর্থাৎ টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে রাজত্ব করেন ব্যাটসম্যানরাই। বোলারদের সেঅর্থে কোনও ভূমিকা থাকে না। কিন্তু চলতি আইপিএল এই প্রবাদ ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। পেসার থেকে স্পিনার সকলেই দাপট দেখিয়েছেন এই মরসুমে। ফাস্টবোলারদের কথা বললে সবার আগেই চলে আসবে কাগিসো রাবাদার নাম। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার এবার দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে আগুনে বলিং করেছেন। ১২ ম্যাচে ২৫ উইকেটের সৌজন্যে মাথায় তুলেছেন পার্পেল ক্যাপ। এহেন রাবাদাই এবার আইপিএলে সর্বকালের রেকর্ড ভাঙার পথে।
দিল্লি এবার প্লে-অফে উঠতে পারে একথা অনেকেই মনে করেননি। শেষ ৬ বছর ব্যর্থতার স্বাক্ষী থাকা দলটা এই মরসুমে রিকি পন্টিং আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের হাত ধরেই আমূল বদলে গিয়েছে। আর দিল্লিকে প্লে অফে তোলার অন্যতম কারিগর এই প্রোটিয়া পেসার রাবাদাই। ২০১৭ সালে দেশের রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে দলে নিয়েছিল। তখন দিল্লি ক্যাপিটালস পরিচিত ছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নামে। সেবছর রাবাদা একেবারেই টুর্নামেন্টে ছাপ রাখতে পারেনি। মাত্র হাফ ডজন উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ মরসুমে পিঠের হাড়ে চিড় ধরায় টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যান।
আরও পড়ুন: ওয়ার্নারের স্ত্রী’র বার্তায় মন গলল সোশালের
২০১৯ চেনাল নতুন রাবাদাকে। মাথায় রাখতে হবে এই ক'বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নিজের একটা জায়গা করে নিয়েছেন রাবাদা। টেস্টে তিনি তিন নম্বর আর ওয়ান-ডে ফর্ম্যাটে পাঁচে রয়েছেন রাবাদা। রাবাদার হাতে এখনও ন্যূনতম তিনটি ম্যাচ রয়েছে। দিল্লি দু'টি লিগ ম্যাচ ও একটি কোয়ালিফায়ার খেলবে। এরপর ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে আরও ম্যাচ পাবেন দক্ষিণ আফ্রিকার যুব বোলার।
এখনও পর্যন্ত আইপিএলে এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওযার রেকর্ড রয়েছে ডোয়েন ব্র্যাভোর। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ২০১৩ সালে ৩২টি উইকেট পান তিনি। এমনকি ব্র্যাভো ফাইনালেও চার উইকেট তুলে নেন ৪২ রানে। কিন্তু সেবার ধোনিদের ফাইনাল খোয়াতে হয় মুম্বইয়ের কাছে। এই বছরই যুগ্মভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন মুম্বইয়ের লাসিথ মালিঙ্গা ও রাজস্থান রয়্যালসের জেমস ফকনার। দু'জনেই পান ২৮টি করে উইকেট। রাবাদার আর প্রয়োজন আট উইকেট তাহলেই তিনি ব্র্যাভোকে ছাপিয়ে আইপিএলের এক মরসুমে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে যাবেন।