Advertisment

যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিলেন একাই, পেলের মৃত্যুতে উথলে উঠছে পুরোনো সেই স্মৃতি

পেলেকে নিয়ে শোকের পাহাড়ে গোটা বিশ্ব

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

পেলে প্রয়াত হয়েছেন বৃহস্পতিবার রাতে। সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিজের সময়ের শ্রেষ্ঠ তারকা তো বটেই। এডসন আরান্তেস নাসিমেন্টো ওরফে পেলে চলে গিয়েছেন ঘুমের দেশে। ৮২ বছর বয়সে দীর্ঘ রোগে ভোগার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিংবদন্তি। জীবনের ক্রিসমাস কেটেছিল হাসপাতালেই। তবে নতুন বছরের আগেই দুঃসংবাদ।

Advertisment

পেলেকে ঘিরে জড়িয়ে ধরেছে অজস্র মিথ। মারাদোনার মত বিতর্কের মধ্যে থাকতেন না। অবসরের পর নিভৃতে, আড়ালে থাকতেই বেশি পছন্দ করতেন। শেষ বয়সের সঙ্গী হয়ে উঠেছিল হুইলচেয়ার।

আরও পড়ুন: প্রয়াত পেলে, মেসির বিশ্বকাপ পাওয়ার বছরেই শোকে ছারখার দুনিয়া

তাঁকে ঘিরে জমে থাকা অজস্র গল্প কাহিনীর মধ্যে একটি হল, তিনি যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিলেন। হেনরি কিসিংগার ১৯৯৯-এ টাইম ম্যাগাজিনের আর্টিকলে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন। ১৯৬৭-এ নাইজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছিল। সেই সময়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন তিনি। যাতে লাগোস-এ এক প্রদর্শনী ম্যাচে তিনি খেলতে পারেন।

পেলের নিজের ক্লাব স্যান্তোসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে সেই সময়ের মিলিটারি গভর্নর স্যামুয়েল অগবেমুদিয়া এক দিনের ছুটি ঘোষণা করে ব্রিজ খুলে দিয়েছিলেন। যাতে দুই পক্ষের মানুষ ম্যাচ উপভোগ করতে পারেন। সেই ম্যাচের পেলের ব্রাজিল ২-১ গোলে জেতে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে।

পেলে পরে ২০২০২-এ টুইট করে জানান, "বেনিন সিটিতে গৃহযুদ্ধ চলার সময় আমাদের একটা প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে স্যান্টোস ক্লাব এতটাই ওঁরা ভালবাসত যে যুদ্ধবিরতিতে ওঁরা রাজি হয়েছিল। সেই দিনটা ইতিহাসের খাতায় লেখা রয়েছে, 'স্যান্টোস যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিল।' হয়ত যুদ্ধ থেমেছিল। নাকি থামেনি। তবে পেলে অন্তত চেষ্টা করেছিলেন।

brazil
Advertisment