গোলাপি বলে খেলে আবার চোট। ঋদ্ধিমান সাহা অবশ্য আশাবাদী এক মাসের মধ্যেই পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারবেন তিনি। ডান হাতের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তারপরে মুম্বইয়ে বুধবারেই অস্ত্রোপচার হল সুপারম্যান ঋদ্ধির। তারপরেই তিনি পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "এটা সাধারণ চোট। রিকভারির জন্য পাঁচ সপ্তাহের বেশি লাগবে না। আপাতত বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়ার পরে এনসিএ-তে রিহ্যাব করব।"
আপাতত ভারত কোনও টেস্ট খেলবে না। পাঁচদিনের ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট নিউজিল্যান্ড সফরে দু-টেস্টের সিরিজ। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কিউয়িদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠার জন্য ঋদ্ধির কাছে তাই পর্যাপ্ত সময়। আপাতত তাই শিলিগুড়ি বাড়িতে পাড়ি দিয়েছেন পাপালি।
এদিকে, দিন-রাতের টেস্টের বলের দৃশ্যমানতা নিয়ে মুখ খুলেছেন ঋদ্ধিও। পূজারার সুরে সুর মিলিয়ে জাতীয় দলের তারকা উইকেটকিপার জানিয়ে দিয়েছেন, "দিন-রাতের টেস্ট খেলাটা বরাবরই চ্যালেঞ্জের, বিশেষকরে বিকেলবেলায় যখন সূর্য ডোবে। বাতাসও কিছুটা অস্বচ্ছ ছিল। বাউন্ডারি লাইনের ধারে যাঁরা ফিল্ডিং করছিল, তারা প্রথমবারে বল দেখতে পাচ্ছিল না।"
এরপরে অবশ্য ঋদ্ধি জানিয়ে দিয়েছেন, "শীত নয়, গ্রীষ্মকালে খেলা হলে এই সমস্যা সম্ভবত থাকত না।" বিশ্বক্রিকেটের সবথেকে নিঁখুত কিপার বলা হচ্ছে বাংলার ঋদ্ধিকে। ইডেন গার্ডেন্সেও নিজের অতিমানবিক পারফরম্যান্সের নজির রেখেছেন। প্রথম ইনিংসে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রথম স্লিপে মাহমুদুল্লার ক্যাচ ফের একবার প্রমাণ করে দিয়েছে ঋদ্ধির দক্ষতার। ঋদ্ধি জানাচ্ছেন, "সাইটস্ক্রিন যদি আরও উজ্জ্বল করা যেত, তাহলে সম্ভবত দৃশ্য়মানতার সমস্য়া একটু হলেও কম হত।"
গোলাপি টেস্টে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ের পরেও বাংলার তারকা অবশ্য বলছেন, নিয়ম নয়, মাঝেমধ্যে খেলা উচিত গোলাপি টেস্ট। তাঁর বক্তব্য, "আমার মনে হয়, অধিকাংশ ম্যাচ লাল বলেই করা উচিত। গোলাপি বলে মাঝে একটা-দুটো করা যেতে পারে। তবে বলের রং যাই হোক না কেন, আমাদের সবসময়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই বিষয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই।"