মোট ৫৪টি চিনা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনকে নিষিদ্ধ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার মধ্যে রয়েছে গ্যারেনা-ফ্রি-ফায়ার। মজার ব্যাপার হল, গ্যারেনা ফ্রি ফায়ার কিন্তু চিনা নয়, সিঙ্গাপুরের অ্যাপ। আর, এর ডেভেলপারও চিনা নন। তবে, জনপ্রিয়তায় অন্য অ্যাপগুলোকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েছে গ্যারেনা-ফ্রি-ফায়ার।
গত বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপ। আগে পাবজি সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ ছিল। তার জায়গা পর্যন্ত নিয়ে নেয় গ্যারেনা-ফ্রি-ফায়ার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর ভারতের গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর তাদের স্টোর থেকে এই অ্যাপকে সরিয়ে দিয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে কেন্দ্র টিকটক নিষিদ্ধ করেছিল। পাশাপাশি, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল চিনের অন্যান্য শর্ট ভিডিও অ্যাপও। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন এব তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এই নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারে একটা বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল। ২০২০ সালের ২৯ জুন, শুধু টিকটকই না। সব মিলিয়ে ৫৯টি অ্যাপ্লিকেশনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তালিকায় ছিল শেয়ারইন, শেয়ারইট, জিওয়ামি মি কমিউনিটি, ক্লাশ অফ কিংস, ওয়েইবো, লিকির মতো বিভিন্ন অ্যাপ।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় এই সব অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এই আইনে সরকারকে সমস্ত অ্যাপ-সহ তথ্যপ্রযুক্তির যাবতীয় ক্ষেত্রে নজরদারির অধিকার দেওয়া আছে। এই আইন অনুযায়ী, দেশের একতা এবং অখণ্ডতায় আঘাত করবে না, এই ব্যাপারে নিশ্চিত হলেই কেন্দ্রীয় সরকার অ্যাপগুলো চালু করার ছাড়পত্র দিয়ে থাকে। আবার, নিয়মমাফিক অ্যাপগুলো কাজ না-করলে, তাকে বাতিল করার অধিকারও রয়েছে সরকারের হাতে।
আরও পড়ুন- ভারতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নথিভুক্তি বাতিল কেন, প্রশ্ন তুলল ব্রিটিশ সরকার
এরমধ্যে টিকটক এবং পাবজি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার জানিয়েছে, এই সব অ্যাপ দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদ হয়ে উঠছিল। এই সব অ্যাপের মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সরকারি নির্দেশ-সহ যাবতীয় তথ্য বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে পাচার সহজ হয়ে উঠেছিল। আর, এই সব কারণে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাবজি-সহ ১১৮টি অ্যাপ্লিকেশনকে নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্র।
ওই বছর নভেম্বরেও আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে অন্যান্য ৪৩টি অ্যাপ্লিকেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। নভেম্বরের সেই তালিকায় ছিল আলিএক্সপ্রেসের মতো জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপও।
Read story in English