কোন দেশের নাগরিক? এই ইস্যুতে বিএসএফ ও বিজিবি-র মধ্যে বিরোধ। যার মাশুল গুণতে হচ্ছে সাত নাবালক সহ মোট ১২ জনকে। এরা প্রত্যেকে ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত ত্রিপুরার সিপাহীজালা জেলার মিঞাপাড়ায় গত ১১ জুলাই সন্ধ্যা থেকে আটকে রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, 'জজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা স্বীকার করেছে যে তারা বাংলাদেশের কুমিল্লার চান্দিনা থানার হাড়িকুলা গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের তরফে তাদের সীমান্ত ও ভারতীয় ভূখণ্ড নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের বাংলাদেশে ফিরে যেতেও বলা হয়।'
তবে, বিজিপি এই ১২ জনকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। বৈধ নথি না থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
যে ১২ জন আটকে রয়েছেন তারা হলেন, কুলসুম বিবি, বারসিদা বেগম, রাজিতা বেগম, মহিউদ্দীন, সাজানা বেগম, শাকিল মিঞা, রাভিনস খাতুন, শাকিব, রাজা হোসেন, রেশমি আখতার, আলিয়া খাতুন, রেজাউল হোসেন। মানবিকতার খাতিরেই জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বিএসএফ।
সংক্রমণ রোধে শুক্রবার থেকেই ত্রিপুরায় অভস্থিত ৮৫৬ কিমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে।
গত সাত দিনে আটক থাকা ১২৩ জনকে ফেরাতে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে। বিএসএফের দাবি, ওই ১২ জনের নাগরিকত্ব সমন্ধীয় উপযুক্ত নথি বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গত ১১ জুলাই কসবা আউট পোস্টে কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনা হয়। এর তিন দিন পরে আরও এক বৈঠকে ১২ আচক ব্যক্তির নাগরিকত্ব নিয়ে 'সহযোগী নথি' বিজিবিকে তুলে দেয় বিএসএফ। এক্ষেত্রে কুলসুম বিবির ছবি, ঠিকানা, পরিবারের সদস্যদের নাম, সিডি সংযোগকারী স্বর ও ছেলের সঙ্গে ভিডিও কথোপকথন তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফ বিবৃতিতে জানায়, 'বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সীমান্তে নারী ও শিশুদের বিজিবি / বিএসএফ গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের নাগিকত্ব নিশ্চয়তার সাপেক্ষে গ্রহণ করতে হবে, এদের মানব পাচারের শিকার হিসাবে গণ্য করা হবে', বিএসএফের বিবৃতি পড়েছে।'
যদিও, বিএসএফের অভিযোগ, ওই ১২ জনের নাগরিকত্বের সব প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও বিজিপি পুরো প্রক্রিয়া সম্মপন্ন করতে দেরি করছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন