Advertisment

দুর্নীতি আটকাতে ত্রিপুরায় হোয়াটসঅ্যাপ

বিপ্লব দেব আশ্বাস দিয়েছেন সেরকম হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই সরকারি চাকুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tripura corruption

ডিলিট হয়ে যাওয়া মেসেজ ফিরে পান নতুন এই ফিচারে

ত্রিপুরার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ করোনাভাইরাসে প্রকোপের মাঝে চিকিৎসা দ্রব্য ক্রয়ে ৩৮ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তোলার এক সপ্তাহ পর দুর্নীতির অভিযোগ জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর স্থির করেছে ত্রিপুরা সরকার।

Advertisment

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব টুইটারে বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য দুর্নীতি সহ্য না করা। সরকার চালনায় আরও স্বচ্ছতা আনতে আমরা ৮৭৯৪৫৩৪৫০১ এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করছি। এখানে আপনারা প্রমাণসহ দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেব। আপনাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।”

বয়েজ লকার রুম মামলা: আরও পাঁচ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করল দিল্লি পুলিশ

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সরকার দুর্নীতি বিষয়ে কোনওরকম সমঝোতা করবে না। তিনি বলেন কোনও সরকারি আধিকারিক বা কর্মী যদি কোনও রকম হেনস্থা করেন বা ঘুষ চান, তাহলে সে নিয়ে যেন প্রমাণসহ ৮৭৯৪৫৩৪৫০১ নম্বরে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

বিপ্লব দেব আশ্বাস দিয়েছেন সেরকম হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই সরকারি চাকুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হবে।

সুদীপ রায়বর্মণকে গতবছর মে মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সুদীপই মুখ্যমন্ত্রীকে মার্চ মাসে এক চিঠিতে লেখেন, “যখন সারা পৃথিবী অদৃশ্য ও দুর্ধর্ষ শত্রু কোভিড-১৯-এর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, যখন ভারত সরকার ও অন্য রাজ্যের সরকারেরা একযোগে এই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিচ্ছে, যখন সাধারণ মানুষ উদাত্তহস্তে পিএমকেয়ারস ও নিজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দান করছেন, তখন দেখে হতাশ লাগছে কিছু সরকারি আধিকারিক কিছু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে অর্থ বানানোর কাজে লাগাচ্ছেন।”

বিএসএফ-এ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৫২

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের তরফে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের মত দ্রব্য কেনায় ৩৮ লক্ষ টাকার বেশি নয়ছয় হয়েছে।

নিজের চিঠিতে সুদীপ দাবি করেন যে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নিজের অধীনে থাকা স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, আধা সরকারি সংস্থা, সিএসআর-এর আওতায় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে পাওয়া মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মত কোভিড ১৯ সম্পর্কিত স্টক মজুত করতে এবং তার হিসেব রাখতে ভয়ানক ব্যর্থ হয়েছে।

২৫ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং বলেন, এ ব্যাপারে কাউকে দোষী পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tripura
Advertisment