ভিড়ের মধ্যেই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মহাষ্টমীর রাতে। সল্টলেকে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুজো এবং শ্রীভূমি-সহ বিভিন্ন পুজোর মণ্ডপে তখন ভিড়ে থিকথিক করছে। সেই সময় বিধ্বংসী আগুন লাগল উল্টোডাঙার ক্যানাল ইস্ট রোডের এক বাড়িতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছ'টি সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা গিয়েছে। এর জেরে জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকল না-আসা পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকল কর্মীরা ল্যাডার ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর মেলেনি।
তবে, বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী, গাছেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে তা ভয়ংকর আকার ধারণ করে। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, তা মানিকতলা বিধানসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্য রাউত থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। আগুন যাতে আরও ছড়াতে না-পারে, সেজন্য গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন- ঘুষের অভিযোগে নীরব তৃণমূল, কিন্তু কঠিন সময়ে মহুয়ার পাশে ফিরহাদ, কী বললেন মমতার মন্ত্রী?
শহর কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। কয়েকদিন আগেই চাঁদনি চকে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গুদামে আগুন লেগেছিল। সেখানে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। তবে, ওই অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গুদামে মজুত কোটি টাকারও বেশি দামের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ভস্মীভূত হয়েছিল। তারপরও যে আগুন আশপাশের ছড়াতে পারেনি, সেজন্য দমকল কর্মীদের কৃতিত্ব দিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। রবিবারের অগ্নিকাণ্ড বড়সড় আতঙ্ক তৈরি করার কারণ, পুজোর আনন্দের মধ্যে রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড়। সেই পরিস্থিতিতে দমকলের গাড়ি যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তার ওপর পুজোকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। যার ফলে আগুন আরও ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।