Partha Chatterjee: অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের সম্ভাবনা কি বাড়ল? শিগগিরই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতা-সহ নানা কারণে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিনের আর্জি জানিয়ে আসছেন। এবার সেই আর্জিরই একটা ফয়সালা হতে পারে। শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'পুজোয় লম্বা ছুটি পড়বে। তার আগেই আদালত জামিনের মামলার শুনানির নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবে।'
খবর একনজরে:
- ১ অক্টোবরের মধ্যে সিবিআইকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।
- ৩ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
- দুপুর ১টায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি হবে।
আগামী ৩ অক্টোবর দুপুর ১টায় কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিবের জামিন মামলার শুনানি হবে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলবন্দি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাপারে সিবিআই বরাবর দাবি করে এসেছে, তিনি প্রভাবশালী। জামিন পেলে প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। সাক্ষীদের প্রভাবিতও করতে পারেন। কিন্তু, শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে স্পষ্ট বলেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর দলে নেই। তিনি মন্ত্রীও নন। ফলে, বর্তমানে তিনি আর প্রভাবশালীও নন।'
অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তুলনাও উঠে আসে আদালতের শুনানিতে। সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এবং দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর তিনি বীরভূমে পৌঁছতেই দলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তুলনা করবেন না। অনুব্রত মণ্ডল বিধায়ক নন। তিনি বীরভূম নিয়ন্ত্রণ করেন।' পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে দলেও নেই। তাই তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কোনও তুলনা হয় না বলেই মিলন মুখোপাধ্যায় দাবি করেন।
আরও পড়ুন- 'স্কোয়্যার ফুটে ৮০ টাকা', তৃণমূল কাউন্সিলরের 'কীর্তি' ফাঁস শুভেন্দুর! মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি
আদালত অবশ্য এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে চায়। সিবিআইকে তাদের লিখিত বক্তব্য শুক্রবারই জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সিবিআই তা জানায়নি। এনিয়ে ক্ষুব্ধ আদালত ১ অক্টোবরের মধ্যে সিবিআইকে তাদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদেরও তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে আদালতে ১ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে হবে। সব দেখেই আদালত ৩ অক্টোবর মামলার শুনানি করবে বলে জানিয়েছে।