Bloody bodies of mother and son-daughter recovered in Birbhum: সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার আদিবাসী পরিবারের তিন সদস্যের দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। তিনজনকেই খুন করা হয়েছে বলে দাবি। মৃতদের শরীরের একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। পুলিশ কুকুর এনে ঘটনার তদন্ত দাবি।
ঘটনাটি বীরভূমের মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানায় অবস্থিত ম্যানেজার পাড়ার। সেখানে একটি বাড়িতে লক্ষ্মী মাড্ডি (২৫) ও তাঁর দুই সন্তান রূপালি মাড্ডি (১০) ও অভিজিৎ মাড্ডি (৮)। লক্ষ্মীর স্বামী লালু কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকেন। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির মধ্যে তিনজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। প্রতিবেশীরা ভিতরে গিয়ে দেখেন, ঘরের খাটিয়ার উপর লক্ষ্মীদেবীর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তাঁর কন্যা রূপালির দেহ ছিল কম্বলে জড়ানো। খাটিয়ার নিচে পড়েছিল ছেলে অভিজিতের দেহ।
তিনজনের মাথাতেই মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। প্রতিবেশীরাই থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। স্থানীয়দের দাবি, তিনজনকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হবে না বলে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: রাজ্যে ফের জাল ওষুধ চক্রের হদিশ, গোডাউন সিল ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের, গ্রেফতার ১
এই পরিস্থিতিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃতদের আত্মীয় মহারানী মাড্ডি বলেন, “আমার বউমা কাজে যাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে মৃতদেহগুলি দেখতে পান। খুন করা হয়েছে ওদের। পুলিশ কুকুর দিয়ে তদন্ত করাতে হবে”।
আরও পড়ুন- Tangra Triple Death Case: ট্যাংরায় খুনের তত্ত্বই জোরালো, তবে মোটিভ নিয়ে ধন্দ কাটছেই না
এদিন এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, “গোটা রাজ্য অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইছি।”