সরকার নিজের দলেরই। তাতে কি? কাজ না করলে সরকারি দফতরের বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে পিছপা হবেন না তিনি, আবভাব এমনই! রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে এবার অবস্থানে বসলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক। ঘটনাস্থল হুগলির চুঁচুড়া। দীর্ঘদিন ধরে এই শহরের অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। অভিযোগ, মূলত পূর্ত দফতর এবং KMDA-এর বিরুদ্ধে।
দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকদের নালিশ শুনতে শুনতে বেজায় খাপ্পা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। পূর্ত দফতর এবং KMDA-এর আধিকারিকদের রাস্তা সংস্কারের জন্য হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, চুঁচুড়া তোলাফটক থেকে সাঁকোমোড় পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খারাপ দীর্ঘদিন থেকেই। এই রাস্তা দিয়ে গঙ্গার ধার ধরে চন্দননগর পৌঁছে যাওয়া যায়। শ্মশানঘাটও এই রাস্তার মধ্যেই পড়ে। বেহাল রাস্তা নিয়ে আগেই KMDA, পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন অসিত মজুমজদার। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু না হাওয়ায় এবার নতুন করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। আনলেন গুরুতর অভিযোগও।
দুর্ভোগ বাড়লেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না রাস্তা সংস্কার? মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের দুই বিভাগের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শসাকদলের বিধায়ক অসিত মজুমদার। মঙ্গলবার সকালে রাস্তা সংস্কারের কাজের গতি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি মানা না হলে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্যেরর সঙ্গেও ফোনে কথা বলে KMDA ও পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।
অসিত মজুমদার এদিন বলেন, "অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করছে। রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। পূর্ত দফতর-KMDA কারও কথা শোনে না। তোলাফটক থেকে সাঁকো মোড়, প্রায় ৬০০ মিটার রাস্তার বেহাল দশা। প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আমাকে বলেছিলেন কাজ শুরু করবে। সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।" এদিন প্রায় ঘণ্টা দু'য়েক তোলাফটক মোড়ে অবস্থান করার পর বেলা দু'টোর আগামী ৩ দিনের মধ্যে রাস্তা সারাইয়ের লিখিত প্রতিশ্রুতি পেয়ে অসিত মজুমদার উঠে যান।
এদিন তাঁর সঙ্গে স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকেও দেখা যায় অবস্থানে। যদিও এব্যাপারে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি BJP। গেরুয়া দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, "সদ্য লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা তৃণমূল জিতলেও চুঁচুড়া বিধানসভায় প্রায় ৮০০০ ভোটে তৃণমূল হেরে বসে আছে। তারপর থেকেই এই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্ল্যাকলিস্টেড। তাই তাঁর কথা কোনও সরকারি আধিকারিকই শোনেন না। যতক্ষন না মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ততক্ষণ কোনও সরকারি দফতরই তাঁর কথা শুনবে না।"