অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে 'অশনি'। প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড়ের গতি-প্রকৃতির দিকে খেয়াল রাখছেন আবহাওয়াবিদরা। মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় পৌঁছতে পারে ‘অশনি’। অন্ধ্র উপকূল ধরেই পরবর্তী সময়ে ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় এগিয়ে চলবে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তবে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এরাজ্যে। হলদিয়ায় সচেতনতামূলক প্রচার শুরু উপকূলরক্ষী বাহিনীর।
দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে সোমবার সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। দিনভর মেঘলা আকাশ শহর কলকাতায়। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা-মাঝারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন দশা। সকাল থেকে বৃষ্টি পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়।
আরও পড়ুন- ‘অশনি’ সংকেতে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা বাংলা-ওড়িশায়
'অশনি' মোকাবিলায় তৈরি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। হলদিয়ায় জলপথে চলল সতর্কতামূলক প্রচার। মাঝসমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের ফিরেয়ে আনতে সচেতনতামূক প্রচার। শুধু তাই নয়, ঝড় গতিমুখ বদল করলে তার বড়সড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও তৈরি উপকূলরক্ষী বাহিনী।
আরও পড়ুন- শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, টানা ৩ দিন ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়
হলদিয়া বন্দরে নোঙর করে থাকা জাহাজগুলিকে নিরাপদ দূরত্বে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সামুদ্রিক ঝড়ের পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে জলপথে দুটি জাহাজ এবং আকাশ পথে দুটি হেলিকপ্টার নজরদারি চালাচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, এছাড়াও দুটি ডর্ন-ইয়ার কপ্টার ভুবনেশ্বর থেকে দিঘা, কাঁথি, খেজুরি, নন্দীগ্রাম,হলদিয়া, ডায়মণ্ডহারবার হয়ে ফ্রেজারগঞ্জ পর্যন্ত টানা নজরদারি করছে।
কোস্টগার্ড কমাণ্ডার দীপক সিং জানিয়েছেন, তাঁরা শনিবার থেকে জলপথে এবং আকাশপথে লাগাতার নজরদারি করে চলেছেন। ডুবুরিদের পাশাপাশি চারটি কুইক রেসপন্স টিমে চল্লিশ জন জওয়ানকে তৈরি রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিজড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই পিুদমে কাজ শুরু হয়েছে কন্ট্রোলরুমে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর হলদিয়া হেভ কোয়ার্টারে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত ঝড়ের যা গতি প্রকৃতি তাতে এটি বাংলায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কংম ববলেই মনে করকছেন আবহাওয়াবিদরা।