/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/Justice-Rajasekhar-Mantha-Calcutta-Highcourt.jpg)
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
দাড়িভিট গুলিতে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের। ৫ বছর পর সেদিনের দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, দাড়িভিটের ঘটনায় বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ আগেই ছিল। তাই এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অবিলম্বে আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
I welcome the Hon'ble Calcutta High Court's Order directing @NIA_India investigation into the State-sponsored murder of Rajesh Sarkar & Tapas Barman, former students of Darivit High School in Uttar Dinajpur district.
They were shot dead inside the school compound by Mamata Police… pic.twitter.com/pb8Ga64tOg— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 10, 2023
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট গ্রামের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে স্কুলে ব্যাপক হিংসার জেরে নিহত হন দুই প্রাক্তন ছাত্র। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। উত্তর দিনাজপুরের মহকুমা শহর ইসলামপুর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে দাড়িভিট গ্রাম।
সেখানকার কোএড উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার। সেই স্কুলেই উর্দু এবং সংস্কৃত শিক্ষকের যোগ দেওয়া নিয়েই শুরু হয় গণ্ডগোল, স্কুল ভাঙচুর এবং শেষে গুলিতে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ নামে দুই প্রাক্তন ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুতে তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য।
আরও পড়ুন সায়েন্স সিটির ভিতরে অমিত শাহ, বাইরে নিজেদের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি বিজেপি কর্মীদের
স্কুলে ভাঙচুর চালায় বহিরাগতরা, বিক্ষোভ সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস থেকে রবার সেলও ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইসলামপুর। ঘটনার পর বন্ধ থাকে স্কুল। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত রাজেশ এবং তাপসের মৃত্যুর কিনারা না হচ্ছে, ততক্ষণ স্কুল বন্ধই থাকবে। আরও দাবি ছিল, এই জোড়া মৃত্যুর তদন্ত একমাত্র সিবিআই করলেই তা মানবেন গ্রামের মানুষ।
সেই মৃত্যুর ঘটনার মামলায় বুধবার আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, দুই যুবকের মৃত্যু মামলার তদন্ত সঠিক পথে এগোয়নি। ঘটনার ৫ দিন পর সিআইডি তদন্তভার হাতে নেয়। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করে। এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কেন শূন্যে গুলি ছোড়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি মান্থা।