/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/cc.jpg)
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত 'হামুন'।
মহানবমীর রাতে বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দশমীর সকালে তা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে এসে পৌঁছেছে। মৌসম ভবনের কাছ থেকে পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, দিঘা থেকে মাত্র ২৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। এর নাম হামুন।
ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২১০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে এই হামুন। ঘণ্টায় ১৮ কিমি গতিবেগে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-উত্তরপূর্বে সরতে সরতে এই ঘূর্ণিঝড় হামুনে পরিণত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দশমীতে দক্ষিণের কয়েকটি জেলা ভিজতে পারে বলে হাওয়া অফিস জানিয়ছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী হাওড়া এভং হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন নবমীতে অসুর বরুণদেব! বেলা বাড়তেই বৃষ্টি কলকাতায়, ভিজছে জেলাও
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলের উপর দিয়ে ৪০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক জায়গায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
সাগর উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ‘হামুন’ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দিকে বাঁক নেবে বলে মৌসম ভবন সূত্রে খবর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে। তবে ততক্ষণে সেটি দুর্বল হয়ে আবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।