রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে পুরভোটে তিনি যে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চলেছেন সে বার্তা আগেই দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পুর বা পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, এ অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। তবে এবার তা নিয়ে সতর্ক খোদ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ কুমার দাসের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনী নিরাপত্তা এবং মানুষের আস্থা ফেরাতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান রাজ্যপাল। এদিনের বৈঠকে রাজ্যপাল স্মরণ করিয়ে দেন যে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে সমস্ত ক্ষমতা। সেই মোতাবেক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্বাচন আধিকারিকদের বদলিও করতে পারেন তাঁরা। যদিও প্রশাসনিক এবং পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল সরকার তরুণ বিজেপি প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছে’, কৈলাশ মন্তব্যে ঝড়
রাজ্যপালের সঙ্গে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সেক্রেটারি নীলাঞ্জন সান্ডিল্য। আসন্ন পুরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে নির্দেশও দেন রাজ্যপাল ধনকড়। জানা গিয়েছে বৈঠকে জগদীপ ধনকড় কিছুটা কড়া সুরেই জানান যে সাংবিধানিক এবং নিরপেক্ষ সংস্থা হিসাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে ভোটারদের তাঁদের ভোটদানের অধিকার থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার সে বিষয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ কুমার দাসকে সংবিধানের ২৪৩ (৩)-এর অধীনে গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করার কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: অশান্ত রাজধানীতে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সরকারের: আরএসএস
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি পুর নির্বাচনের বিষয়ে বিশদ তথ্য চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে আসতে অনুরোধ জানান রাজ্যপাল। সেই মতো আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ কুমার দাস রাজ্যপালকে জানান যে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই অভিযোগ জানানোর সমস্ত ব্যবস্থা করবে কমিশন। এমনকি জেলাশাসকদের সঙ্গে মার্চের ৪ তারিখ একটি বৈঠকের কথাও জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
পাশপাশি সংবাদমাধ্যমের কাছেও আবেদন জানানো হয় নির্বাচন চলাকালীন কোনও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি না রাখার। এদিনের বৈঠক শেষে নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের আস্থা ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথাও রাজ্যপাল ধনকড় জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন