মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই জোড়া খুন। ভবানীপুরের ফ্ল্যাট থেকে অবাঙালি দম্পতির দেহ উদ্ধার। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ঘোর উদ্বেগে রয়েছেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ফোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। ভর সন্ধেয় নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোন পুলিশ কমিশনার ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
Advertisment
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত দম্পতি অশোক শাহ ও রেশমি শাহ। হরিশ মুখার্জি রোডের ওই ফ্ল্যাটে ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন ওই দম্পতি। তাঁদের তিন মেয়ে। ব্যবসায়ী অশোক শাহের দুই মেয়ের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ে ও স্ত্রী রেশমিকে নিয়ে থাকতেন অশোক শাহ। এদিন সন্ধেয় তাঁদের ছোট মেয়ে বাড়ির বাইরে ছিলেন। তিনি বাড়ি ফিরে বাবা ও মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছোয়। কলকাতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় জোড়া খুনে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা জানতে পেরেই পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দেন। পরে কলকাতার সিপি, অ্যাডিশনাল সিপি-সহ পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমও যান ঘটনাস্থলে। ওই এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃতদেহ দুটিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনার তদন্তে আনা হয় স্নিফার ডগ। তদন্তে নামেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররাও। এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। লুঠের উদ্দেশ্যেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছে পুলিশ। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে আরও কোনও কারণ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ওই এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''দোষীদের রেয়াত করা হবে না। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পরেই রয়েছে কলকাতা পুলিশ। আততায়ী গ্রেফতার হবে।''