Jamalpur post office fraud Case: জামালপুর সাব পোস্ট অফিসে ফিক্সড ডিপোজিটে প্রতারিত হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সুরজিৎ পাল। সেই মামলাকে ঘিরেই এবার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। "মামলা তুলে না নিলে ফল ভালো হবে না"—এমন স্পষ্ট হুমকি দেওয়া হয়েছে দুস্কৃতিদের তরফে, এমনটাই দাবি সুরজিৎ পালের। ঘটনার পর তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন রাজ্যের ডিআইজি (সিআইডি) এবং পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের কাছে। তিনি ও তাঁর পরিবার এখন প্রশাসনিক নিরাপত্তার অপেক্ষায় রয়েছেন।
জামালপুর হাটতলার বাসিন্দা রণজিত পাল ও তাঁর পরিবার ২০২১ সালে জামালপুর সাব পোস্ট অফিসে প্রায় ১২.২০ লক্ষ টাকা 'ফিক্সড ডিপোজিট' করেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারেন, পোস্ট অফিসের তৎকালীন পোস্ট মাস্টার বিদ্যুৎ সুর তাঁদের সঞ্চয়ের যাবতীয় নথি অস্বীকার করেন । উলটে তাঁদের 'টাকা জমাই নি' বলে অপমান করে তাড়িয়ে দেন।
এর পরই প্রতারণার অভিযোগ এনে বর্ধমান আদালতে মামলা দায়ের করা হয় এবং পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টে সিআইডি তদন্তের দাবিতে আবেদন করেন সুরজিৎ। হাইকোর্ট সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং বিদ্যুৎ সুরের জামিনও খারিজ করে দেয়।
সিআইডির তদন্ত যতই গতি পাচ্ছে, ততই বাড়ছে সুরজিৎ ও তাঁর পরিবারের উপর চাপ। তাঁর অভিযোগ, কিছুদিন আগে বাইকে করে যাওয়ার সময় মুখ ঢাকা দুই ব্যক্তি তাঁর পথ আটকে হুমকি দেয়। বলা হয়, “কলকাতা হাইকোর্টের মামলা তুলে নাও, নয়তো ফল ভাল হবে না।” সুরজিৎ জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর কাছে অত্যন্ত ভয়াবহ বলেই মনে হয়েছে। তাই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে সিআইডি ও পুলিশের কাছে জানিয়ে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পাল পরিবারের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী আইনজীবী উদয়শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই হুমকিকে হালকা করে দেখলে চলবে না। অবিলম্বে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত পুলিশের।”
বর্ধমান আদালতের আইনজীবী অতনু সরকার জানান, “অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টার জামিন না পেয়ে পলাতক। এখন তাঁর সহযোগীরা হুমকি দিচ্ছে। এটি অপরাধমূলক কাজ। পুলিশ প্রশাসনের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।” পুলিশ সুপার সায়ক দাসকে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে এখনও পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।