/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/jhalda-tapan-kandu-congress.jpg)
নিহত ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপণ কান্দু।
ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল ভাইপো দীপককে। ঝালদাকাণ্ডে এটাই প্রথম গ্রেফতারি। সদ্য হওয়া রাজ্যব্যাপী পুরসভা ভোটে ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন দীপক কান্দু। কাকা তপনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন দীপক।
গত পরশু বিকেলে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপণ কান্দু। তারপর থেকে কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল যে, এই খুনের নেপথ্যে শাসক দলের যোগ রয়েছে। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও এই প্রসঙ্গে লোকসভায় সরব হন। রাজ্যে মমতা সরকারের আমলে 'অরাজগতা' চলছে বলে দাবি করেন। এরমধ্যেই তদন্তে ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা নিহতের ভাইপোকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিশ। তাতেই অসঙ্গতি মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। তারপরই গ্রেফতার করা হয় দীপক কান্দুকে।
তপন কান্দু খুনের ঘটনায় ঝালদার আইসির বিরুদ্ধেও ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী সহ পরিবারের অন্যান্যরা। একটি অডিও টেপও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে (এই টেপের সত্যতা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা যাচাই করেনি)। নিহতের পরিবারের দাবি, ওই অডিও টেপেই সাফ যে পুরনির্বাচন ঘোষণার পর থেকে নাকি তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ঝালদার আইসি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। ওই আইসিকে সরানোর দাবি করেছে কংগ্রেস।
হারার যন্ত্রণা ভুলতেই কী কাকা তপণকে হত্যা করেছে তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূল প্রার্থী? নাকি এর নেপথ্যে আরও বড় মাথা জড়িত? আপাতত জেরায় সেই প্রশ্নেরই হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।