কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। পাঁচদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত আইসিসিইউ-তে ভর্তি থাকার পর মঙ্গলবার কেবিনে ফিরলেন কালীঘাটের কাকু। ৩ সদস্যের মেডিক্যাল টিমের রিপোর্টের পরেই কেবিনে কালীঘাটের কাকু।
জানা গিয়েছে, এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনের পাহারায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য এবার কি জোকা ইএসআইতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে? তেমনই জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে। কণ্ঠস্বর পরীক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা চলছে। এবার চরম পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, এমনই সূত্রের খবর।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একটি কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, কল রেকর্ডে থাকা কণ্ঠস্বরটি কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। তবে বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে। সেই কারণেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ জরুরি। তবে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বারবার বাধা আসছে বলে অভিযোগ ইডির। শারীরিক অসুস্থতার কারণ জানিয়ে গত চার মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
আরও পড়ুন কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে মরিয়া ইডি, SSKM-এর বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপের ভাবনা
গত কয়েকমাসে একাধিকবার হাসপাতালে গিয়েও তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি। ইডির অভিযোগ, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে তাঁদের বাধা দিচ্ছে। এমনকী চিকিৎসকদের সামনে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহ করা হবে বলে জানালেও আপত্তি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শেষমেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। কোর্টের নির্দেশেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর কথা ছিল। গত বৃহস্পতিবার এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে ইএসআই হাসপাতালে যাওয়ার কথা জানায় ইডি। গত শুক্রবার সকালে হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাজির হয় ইডি। তখনই ইডি অফিসাররা জানতে পারেন বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় কালীঘাটের কাকুকে আইসিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার দিনভর টানাপোড়েন শেষেও কালীঘাটের কাকুর নাগাল পায়নি ইডি।
এবার আইসিসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে কাকুকে। তাহলে এবার তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।