সিবিআই হেফাজতে মৃত লালন শেখের মৃত্যু রহস্যের কিনারায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। অন্যদিকে, লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর জন্য সিবিআইয়ের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগের দায়ের করেছিল। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ সিবিআইয়ের ওই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এরপরই বুধবার এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করে সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতেই সিআইডিকে তদন্তে ছাড় দিলেও একগুচ্ছ নির্দেশ বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
বুধবার আদালতের নির্দেশ, সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত সিআইডি চালিয়ে যেতে পারবে। তবে, বয়ান নেওয়ার সময় ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া গরু এবং কয়লা পাচার মামলায় তদন্তকারী সিবিআইয়ের অফিসারদের বিরুদ্ধে (রেশমা বিবির অভিযোগে যে তিন জন সিবিআই আধিকারিকের নাম রয়েছে তাঁদের মধ্যে দু'জন কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে যুক্ত) কোনও ‘কড়া পদক্ষেপ’ করতে পারবে না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট করতে হবে কল্যাণী এইমস থেকে।
এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থারর আইনজীবী দাবি করেন যে, পান্থশালার শৌচাগারে গামছা গলায় নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন লালন। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর উপর কোনও নির্যাতন হয়নি। লালনের আত্মহত্যার আগেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানে কোনও আঘাতের চিহ্নের কথা উঠে আসেনি। যদিও লালনের স্ত্রীর অভিযোগ, হার্ড ডিস্ক বা নগদ ৫০ লক্ষ না মেলেতেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা লালনকে মেরে ফেলেছে।
উল্লেখ্য, হাসপাতাল সূত্রে খবর লালন শেখের ময়না তদন্ত রিপোর্টে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকার কারণেই মৃত্যু বলে রিপোর্টে লেখা হয়েছে।