বাবুলের পর এবার মদন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের পাহাড় প্রমাণ সাফল্যের দিনে মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। 'রক্তের হোলির মধ্য দিয়ে এটাই যেন হয় শেষ নির্বাচন', 'কালারফুল মদন' আজ যেন চেনা ছন্দের একটু বাইরে।
ঠিক কী বললেন মদন মিত্র?
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের কথায়, 'বাংলায় এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রক্তের এই হোলি খেলা বন্ধ হোক। রক্তের হোলির মধ্য দিয়ে এটাই যেন হয় শেষ নির্বাচন। মারব, খুন করব, দখল করব এই সংস্কৃতি খুবই দুঃখের। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এই খুনের সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া দরকার।'
আরও পড়ুন- তুফান তোলা সাফল্য তৃণমূলের! তাতেও ‘মনমরা’ বাবুল! কারণটা জানালেন নিজেই
শুধু মদন মিত্রই নন, এদিনই আনন্দবাজার অনলাইনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বাবুল সুপ্রিয়ও দলের একাংশের কর্মীদের আচরণ নিয়ে এদিন খানিকটা আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। বাবুল এদিন বলেন, ‘তৃণমূল তো এমনিতেই জিতত। গন্ডাগোল যে জায়গাগুলিতে হয়েছে তার দরকার ছিল না। আমাদের নীচুতলরা কর্মীদের বুঝতে হবে মুখ্যমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলি চালু করেছেন তাতে সাধারণ মানুষ এমনিতেই খুশি। তাঁরা এমনিতেই তৃণমূলকে ভোট দিতেন। এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করার দরকার ছিল না।’
আরও পড়ুন- মুখ পোড়ালেন মমতার কাছের দুই মন্ত্রী! নাকের ডগার পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল বিজেপি
২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রক্তের স্রোত বয়েছে রাজ্যে। দিকে দিকে খুন, সন্ত্রাসের রাজনীতিতে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়েছে বাংলার। শাসক তৃণমূল থেকে শুরু করে ভোট-যুদ্ধে প্রাণ খুইয়েছেন বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের একাধিক কর্মী-সমর্থক। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশিত।
আরও পড়ুন- সিপিএমের হয়ে জিতেই এই মহিলা যা কাণ্ড বাঁধালেন, দেখে বায়রনও লজ্জা পাবেন!
এবারেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গ্রাম বাংলার রাজনীতির রাশ হাতে রেখেছে তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ সবেতেই কর্তৃত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে জোড়াফুল। এই আবহেও এদিন তৃণমূলের একাধিক নেতার আক্ষেপও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- লজ্জায় মাথা হেঁট আরাবুলের! ভাঙড়ে ভোটের ফল শুনেই যা বললেন…