দুর্গাপুজো বন্ধের ঘোর বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ১২টি জেলার ১১০ পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের সময়ই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
দোরগোরায় দুর্গা পুজো। করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। বারোয়ারি পুজোগুলোকে পঞ্চাশ হাজার করে উৎসবের অনুদান দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অতিমারীতে মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। অনুদান সংক্রান্ত মামলায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখোমুখি রাজ্য। কিন্তু, তাতেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, 'পুজো আবার ঘরে বসে হয় নাকি? দুর্গা পুজো বন্ধ করা ঠিক নয়।' একই সঙ্গে উৎসবে কোভিড নিয়মবিধি মেনে চলার জন্যও রাজ্যবাসীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন- ভিড় জমিয়ে কেনাকাটা-পুজোয় বাইরে বেরনো এড়িয়ে চলুন, আর্জি মমতার
নবান্নে ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধন অুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'রমজান, ঈদ,গণেশ পুজো বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে হয়েছিল।। কিন্তু, মা দুর্গার বড় সংসার। তাই পুজো ওইটুকুনি জায়গার মধ্যে করা অসম্ভব। দুর্গা পুজো বারোয়ারি। বেশিরভাগ পুজোই করে ক্লাব-কমিটি। বাড়ির পুজো খুব কম হয়। তাই অন্যসব রাজ্যের মতো বাংলায় পুরোপুরি পুজো বন্ধ করে দেওয়া অসম্ভব ব্যাপার। আমরা (রাজ্য সরকার) পুজো বন্ধ করতে চাই না, এটা ঠিক নয়।।'
আরও পড়ুন- পুজোর পাসেও ‘টাইম স্লট’! নিউ নর্মালে অভিনব ভাবনা পুজো উদ্যোক্তাদের
উৎসবের পাঁচ দিন করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেনাকাট করতে ভিড়ে যেতে বা মণ্ডপে গিয়ে ভিড় না বাড়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি। আবার একই সঙ্গে শিল্পীদের কথা বিবেচনা করে নির্দিষ্ট বিধি মেনে ছাড় দেওয়া হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এ দিনও বাংলার উৎসব প্রিয় মানুষ ও পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'প্রটোকল অবশ্যই মানতে হবে। ক্লাব-কমিটিগুলোর এতে বড় দায়িত্ব রয়েছে। পুজোর পর যাতে সংক্রমিতের সংখ্যা না বাড়ে সেদিকে ধ্যান দিতে হবে। সবাই মাস্ক পড়ুন, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন।'
কিন্তু, উৎসবে বিধি মেনে আদৌ কি মণ্ডপ দর্শন সম্ভব? এই প্রশ্নেই আপাতত বিতর্ক তুঙ্গে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন