/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/02/Mamata-Banerjee-on-Farmers-Protest.jpg)
CM Mamata Banerjee Slams BJP: কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি-সংগৃহীত
Mamata Banerjee Backs Farmers Protest: কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিমুখী হাজার হাজার কৃষককে আটকাতে ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস শেল ছোড়ার অভিযোগ হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে। দিল্লি সীমান্তে পুলিশ-কৃষক খণ্ডযুদ্ধও হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মমতা।
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি টুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘দেশের কৃষকদেরই যদি কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশ এগোবে কী করে!’’ কেন্দ্রের সমালোচনা করে মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, এই কি তবে ‘বিকশিত ভারত’-এর নমুনা? তিনি আরও লিখেছেন, "কেন্দ্র যে কৃষক এবং মজদুরদের সাহায্য করতে পারেনি তার প্রমাণ এই ঘটনা। কৃষকদের মৌলিক অধিকারের কথা বলতে চাওয়ার জন্য আক্রান্ত হতে হচ্ছে। আমি এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি।"
মঙ্গলবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা (শম্ভু) সীমান্তে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় কারণ বিক্ষোভকারী কৃষকরা ব্যারিকেডগুলি অপসারণ করতে শুরু করে, যার পরে হরিয়ানা পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। এর আগে, কৃষক ইউনিয়নগুলি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা শুরু করার পরেই হরিয়ানা পুলিশ সীমান্তে বেশ কয়েকজন কৃষককে আটক করেছিল এবং তাদের যানবাহন বাজেয়াপ্ত করেছিল।
কৃষকদের মিছিল আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। যার জেরে চারজন কৃষক আহত হন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন "কৃষকদের আন্দোলনকে গায়ের জোরে দাবিয়ে দেওয়ার বদলে বিজেপির উচিত নিজের অহংবোধকে কিছুটা দমানো। তাদের ক্ষমতা উচ্চাকাঙ্খা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেশের ক্ষতি করছে।"
How can our country progress when the farmers are attacked with tear gas shells for fighting for their basic rights? I strongly condemn the brutal assault on our farmers by the BJP.
The Central Govt.'s failure to support farmers and labourers, coupled with futile PR stunts,…— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 13, 2024
সোমবার সন্ধ্যায় কৃষক ইউনিয়নের নেতারা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং অর্জুন মুন্ডাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর কৃষক নেতারা দিল্লির দিকে তাঁদের পদযাত্রা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বৈঠক ফলপ্রসু না হওয়ার জেরেই তাঁরা পদযাত্রার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
একদিন আগে, কৃষকদের মিছিলকে সামনে রেখে হরিয়ানার বেশ কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা এবং সীমান্ত সিল করার বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছিল। তদুপরি, দিল্লির গাজিপুর, সিংঘু এবং টিকরি সীমান্তে ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছিল। পুলিশ ব্যারিকেডও স্থাপন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা নিশ্চিত করার জন্য সীমান্তবর্তী স্থানে (আউটার নর্থ এবং আউটার) ডিসিপি-স্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন Farmers Dilli Chalo Protest: ব্যারিকেড ভেঙে এগোতেই উড়ে এল টিয়ার গ্যাসের শেল, কৃষক-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ
ঝজ্জরে প্রায় সাতটি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। বিক্ষোভের বিষয়ে মন্তব্য করে জেলা পুলিশ প্রধান অর্পিত জৈন বলেছেন, "পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। বিক্ষোভকারীদের হরিয়ানায় পার হতে দেওয়া হবে না। কাউকে পুলিশের ব্যারিকেডিং ভঙ্গ করতে দেওয়া হবে না… যাতায়াত ও দিল্লি থেকে বিকল্প রুটে ডাইভার্ট করা হয়েছে।"
কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত, 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা সম্পর্কে মন্তব্য করে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, "এই মিছিলটি (কৃষক) ইউনিয়ন ডেকেছে, কিন্তু কোনও অন্যায়ের ক্ষেত্রে সারা দেশ থেকে কৃষকরা তাঁদের সঙ্গে আছে। দিল্লিও দূরে নয়। কৃষকরা নয়। তাঁরা তাঁদের অবস্থান জানাতে আসছে এবং সরকারের তাঁদের কথা শোনা উচিত। তাঁদের সকলেরই একই দাবি রয়েছে ঋণ মকুব, স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট এবং এমএসপির জন্য আইনের প্রয়োগ।”