তাঁর সময়ে টিটাগড় পুরসভায় নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কাজ করেনি কোনও প্রভাব। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে আর সরকারি নিয়মমাফিক। এমনটাই দাবি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী। বুধবার না-ডাকতেই তিনি হাজির হয়েছিলেন ইডির দফতরে। বৃহস্পতিবার তলব পেয়ে তিনি ইডি কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিন মোট ছয় ঘণ্টা ধরে ইডি দফতরে ছিলেন টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তদন্তকারী ইডি কর্তারা তাঁকে দফতর থেকে নথি নিয়ে আসতে বলেছিলেন। সেই অনুযায়ী তৈরি হয়ে এসেছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী।
Advertisment
এর আগে টিটাগড় পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় গত ৭ এবং ৮ নভেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। তার আগে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলেছিল। টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, তল্লাশির দিনই তাঁর দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে হাজিরার দিন তাঁর সামনে ওই দু’টি মোবাইলের সিল খুলে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। এদিন সিজিওতে এসেই টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, ২০১৪-১৫ সালে টিটাগর পুরসভায় যে নিয়োগ হয়েছিল সেই তালিকা তাঁকে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এসব নিয়েই এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে অনুমান।
টিটাগড় পুরসভায় কী সত্যিই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল? এই ব্যাপারে বুধবার প্রশান্তবাবুর জবাব ছিল, ‘আমি যখন টিটাগড় পুরসভার প্রধান ছিলাম, তখন ২৪০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। মূলত নথিগুলি জমা দিতে বলা হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'সরকারি নিয়োগের একটা পদ্ধতি থাকে। সেই পদ্ধতি মেনেই নিয়োগ হয়েছিল। সেখানে কোনও প্রভাব কাজ করেনি। একদিনেই তো সব হবে না। ইডি ডাকলে নিশ্চয়ই আবার আসব।' পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, টিটাগড় ও উত্তর দমদম পুরসভায় তল্লাশি চালিয়েছে। টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ছাড়াও কয়েকবার তলব করা হয়েছে বরাহনগরের পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিককেও।