Mamata at Nabanna: এখনই লোকাল ট্রেন চালাতে চায় না নবান্ন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সেই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে কোভিড নিয়ন্ত্রণবিধি ৩০ জুন পর্যন্ত বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আম-আদমির হয়রানি।ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বাইরে বেরিয়ে এখন নিয়মিত অফিস যেতে হচ্ছে মানুষকে। কিন্তু রাস্তায় বেরোলে নেই বাস আর বন্ধ ট্রেন-মেট্রো। ফলে প্রতিদিন নিত্যযাত্রায় হয়রান হতে হচ্ছে মানুষকে। জার প্রভাব গিয়ে পড়ছে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে। সেই ট্রেনে সওয়ার হতে চেয়ে অবরোধ-বিক্ষোভ এখন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই আবহে এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ট্রেন চালালে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।’ তবে এদিন আর কতদিন লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে, তার সদুত্তর দিতে পারেনি মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মূলত সাংবাদিকদের তরফেই এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়। সেই প্রসঙ্গের প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, ‘এখন এসব প্রশ্ন করবেন না। আগে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে দিন। এখনই ট্রেন চালালে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘ট্রেন বন্ধ থাকলেও পণ্য পরিবহণে সমস্যা হচ্ছে না। সব্জি-সহ অন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সড়ক পথে পরিবহণে ছাড় রয়েছে।‘ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যে থাবা বসানোর পর ৬ মে থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। পাশাপাশি ১৬ মে থেকে রাজ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণবিধি কার্যকর হওয়ায় বন্ধ বাস, লঞ্চ, অটো-সহ অন্য গণপরিবহণ। ফলে মফস্বল থেকে শহরে যাতায়াতে স্পষ্টতই হয়রানির মুখে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।
এদিকে, ৩০ জুন অবধি রাজ্যে কোভিড বিধি কার্যকর থাকায় মনে করা হয়েছিল নতুন মাসে সব খুলে দেওয়া হবে। সেই তালিকায় থাকবে ট্রেন-মেট্রো। কিন্তু মমতার এদিনের ঘোষণায় বিশ বাঁও জলে লোকাল ট্রেন ও মেট্রোর ভবিষ্যৎ। যদিও রেল ও মেট্রো কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পরিষেবা দিতে প্রস্তুত। করোনাবিধি মেনেই চলবে ট্রেন-মেট্রো। এখন শুধু অপেক্ষা নবান্নের সবুজ সঙ্কেতের।
গত বছর প্রায় ছয় মাস রাজ্যে বন্ধ করা ছিল রেল-মেট্রো। পুজোর পর কোভিডবিধি মেনেই চালু হয় এই দুই গণপরিবহণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন