কলকাতার মোমিনপুরের গন্ডগোলের ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে খোঁজ-খবর চালাতে এবার লালবাজারে এনআইএ-র প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আসেন।
মোমিনপুরে ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল? অশান্তিতে কাদের মদত ছিল? ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সেই সব ব্যাপারেই খোঁজ নিচ্ছেন এনআইএ-র প্রতিনিধিরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে মোমিনপুরের অশান্তির তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ।
মোমিনপুরের অশান্তির ঘটনায় এবার কোমর বেঁধে তদন্ত শুরু করে দিল এনআইএ। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে মোমিনপুরের গন্ডগোলের তদন্তে সিট গঠন করে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে নেমে ৫টি এফআইআর দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। অশান্তির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইেকার্টে মোমিনপুরের ঘটনা নিয়ে মামলা হলে ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে কীনা তা দেখার ভার কেন্দ্রীয় সরকারের উপরেই ছেড়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- ক্রমেই চওড়া ডেঙ্গির থাবা, উৎসবের মরশুমে মৃত্যু যুবকের
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে মোমিনপুরের অশান্তির তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মোমিনপুরের ঘটনা নিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা, ভাঙচুর, আগুন লাগানোর মতো ঘটনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে এনআইএ।
এবার এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই মামলার যাবতীয় নথি কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে নেবে এনআইএ। ধৃতদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে এনআইএ।