ডেঙ্গু সচেতনতা অভিযানে বেরিয়ে, ডেঙ্গু মোকাবিলায় নাম না করে বিরোধী কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। আজ, শনিবার, শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সচেতনতা অভিযানে বের হন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। এদিন এলাকায় ঘুরে, প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে প্রচার করেন অশোকবাবু। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে মেয়রের এই সচেতনতা অভিযানে, শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নন, সামিল হন এলাকার রাজেন্দ্র প্রসাদ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং শিক্ষিকারাও।
সচেতনতা অভিযান শেষে অশোক ভট্টাচার্য্য অভিযোগের সুরে বলেন, "বহুবার বলা সত্ত্বেও ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে পুরনিগমের বহু কাউন্সিলরই সেরকম ভাবে কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না।" নাম না করে বিরোধীদের দিকে তোপ দেগে মেয়রের অভিযোগ, "বরো কমিটির চেয়ারম্যানরাও ডেঙ্গু সচেতনতায়, কাউন্সিলরদের নিয়ে কোনও বৈঠক ডাকছেন না"।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির ফুটপাথ রক্ষা ও যানজট সমস্যার সমাধানে এবার পথে নামবেন গৌতম দেব
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় শিলিগুড়িতে। তাই ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরবাসীকে আগাম সচেতন করতে উদ্যোগ নিয়েছে শিলিগুড়ি পু্রনিগম। সেই উদ্যোগকে সামনে রেখে শনিবার সকালে শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রচার শুরু করেন। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর পাশাপাশি লিফলেট বিলি করে প্রচারকার্য চালান অশোকবাবু। এদিন শিলিগুড়ির পুরপ্রধান বলেন, "ডেঙ্গু মোকাবিলার অন্যতম উপায় জনসচেতনতা। এই জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে সিটিজেন টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।"
তবে এদিন ডেঙ্গুর আগাম মোকাবিলায় শহরবাসীকে সচেতন করার পাশাপাশি বিরোধী কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন মেয়র। অশোকবাবুর অভিযোগ, "ডেঙ্গু বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে জরুরি বৈঠক ডেকেও বিরোধী কাউন্সিলারদের পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া দু-একটি বরো কমিটিও ডেঙ্গু নিয়ে মিটিং করায় অনীহা দেখাচ্ছে। এতে শিলিগুড়িতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলে তা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।" প্রচারে বেরিয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলার প্রচারকার্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান পুরপ্রধান।
আরও পড়ুন: তিন মাসেই ভগ্নপ্রায় তিস্তার বাঁধ, আতঙ্কে উত্তরবঙ্গের লক্ষাধিক মানুষ
যদিও মেয়রের এই মন্তব্য মানতে নারাজ শিলিগুড়ি পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, "মেয়র প্রতিবছরই উদ্যোগ নেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেন না, আর প্রতিবছরই ডেঙ্গুতে ছেয়ে যায় শিলিগুড়ি। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। বিরোধী কাউন্সিলাররা সারা বছরই সচেতনতার কাজ চালিয়ে যান। তাই মেয়র যা অভিযোগ করছেন, তা সম্পূর্নভাবে ভিত্তিহীন। আর যে সব ওয়ার্ডে ডেঙ্গু ছড়ায় তার বেশিরভাগ ওয়ার্ডই বামেদের। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাম কাউন্সিলার শঙ্কর ঘোষ। মেয়র ডেঙ্গু নিয়েও রাজনীতি শুরু করেছেন।"
শিলিগুড়ির সব খবর পড়ুন এখানে