Advertisment

কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে তৃণমূল, বনধে 'না'

সংসদে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম যে এমএসপি দিতে হবে। কৃষি বিল তৈরি করার আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু সেটা করা হয়নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কৃষি বিলের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছে গোটা দেশ। শুক্রবার দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভের মাঝে হাজির হয়েছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। শনিবার তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক সারেন শিরোমণি অকালি দলের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, অবিলম্বে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। তিনটি বিল পাঠাতে হবে স্ট্যান্ডিং অথবা সিলেক্ট কমিটিতে।

Advertisment

লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা বলেন, ''সংসদে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম যে এমএসপি দিতে হবে। কৃষি বিল তৈরি করার আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু সেটা করা হয়নি। কৃষকদের সমস্যা না বুঝে যে বিল এসেছে তার বিরোধিতা হচ্ছে এবং হবে।" শিরোমণি অকালি দলের সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র প্রেম সিং চন্দুমাজরা বলেন, 'কৃষি প্রত্যাহার করতেই হবে সরকারকে। এই নতুন বিলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কোনও নিশ্চয়তা নেই।'

আরও পড়ুন, কৃষক বিদ্রোহে সুর নরম সরকারের? ‘খোলা মনে সমস্যা শুনতে প্রস্তুত আমরা’, কৃষকদের বার্তা কেন্দ্রের

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যে রয়েছে তৃণমূল একথা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ ডেকেছে কৃষক সংগঠনগুলি। এদিন ওই বনধে নৈতিক সমর্থন দিল তৃণমূল। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''আমরা বনধকে নৈতিকভাবে সমর্থন করি। তবে রাস্তায় নামব না। ৮ তারিখ থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসবে তৃণমূল। ১০ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সামিল হবেন।''

আরও পড়ুন, ‘একদিনে নয়, বিভিন্ন স্তরে আলোচনার পর কৃষি আইনের সিদ্ধান্ত হয়েছে’

প্রসঙ্গত, কলকাতায় অবস্থান-বিক্ষোভ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি বিধায়ক বেচারাম মান্নাকে। ৮, ৯ ও ১০ ডিসেম্বর গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তিন দিনের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ করবে দলের এই শাখা সংগঠন। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের শেষদিন বক্তৃতা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc Farm Law Farmers Movement
Advertisment