Sealdah Station: একটানা তিন দিন চরম হয়রানি শিয়ালদহ স্টেশনে। রবিবার সকালে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে যাত্রীদের একাংশের। ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে। স্টেশনেই বেপরোয়া ভাঙচুর শুরু হয়, বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ আরপিএফ-এর।
শিয়ালদহে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ চলছে। শহরতলির লোকাল ট্রেনের যাত্রীধারণ পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ গত শুক্রবার থেকে চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভোগান্তির শুরু। শুক্রবার থেকে শুরু হয় ট্রেন বাতিল পর্ব। প্রতিদিন গুচ্ছ-গুচ্ছ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করেছে রেল। যদিও সেইসব তালিকা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি বলে দাবি যাত্রীদের একটা বড় অংশের। তারই জেরে বিভ্রান্তি-ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।
রবিবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে যাত্রীদের একাংশের। শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মূলত দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে অপেক্ষা করার পরেও ট্রেনের দেখা না পেয়ে অসহ্য ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ শিয়ালদহ স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রের কাছে গিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। অনুসন্ধান কেন্দ্রের বাইরের কাচ ভেঙে ফেলা হয়। এই ঘটনার জেরে অনুসন্ধান কেন্দ্রে কর্মরত কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- Train movement in Sealdah Section: শিয়ালদহ শাখার ট্রেনে যাতায়াত করেন? এখবর আগে জানুন! নয়তো দুর্ভোগের শেষ থাকবে না
এদিকে যাত্রী বিক্ষোভ চরম আকার নিতেই স্টেশনময় ছেয়ে যায় আরপিএফ-এ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরপিএফ লাঠিচার্জ করে বলেও জানা গিয়েছে। লাঠিচার্জের জেরে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে দাবি।
আরও পড়ুন- বৃদ্ধার মৃত্যুতে সে কী উল্লাস! শ্মশানের পথে ডিজে-গানে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ার জোগাড়!
উল্লেখ্য, গত তিনদিন ধরেই শিয়ালদহ স্টেশনের এক থেকে পাঁচ নম্বর প্লাটফর্ম বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই কারণেই প্রতিদিন বহু ট্রেন বাতিল করতে হচ্ছে এবং একইসঙ্গে বহু ট্রেনের যাত্রা পথ বদলাচ্ছে রেল। লোকাল থেকে এক্সপ্রেস, সবক্ষেত্রেই এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। যদিও রবিবার দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।