/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/vishwa-bharati.jpg)
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
শেষ পর্যন্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইএসএফ মোতায়েনে ছাড়পত্র দিল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে সিআইএসএফ। এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা হচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে বাহিনী মোতায়েনের জন্য সিআইএসএফ-কে চিঠি দিয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, সুরক্ষার স্বার্থে স্থায়ী ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইএসএফ নিয়োগের দাবি জানান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই আবেদনের একটি প্রতিলিপি প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও পাঠানো হয় বলে জানা যায়। চিঠিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, ‘‘বর্তমানে যেসব বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা কাজ করেন, তাঁরা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি অনুগত। বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা আধিকারিকের নির্দেশ মান্য করে না। কাজে গাফিলতির কারণে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের কাজ থেকে বাদ দেওয়া হলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের হয়ে কথা বলেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর সঠিক পরিচালনা ও শান্তি বজায় রাখতে সিআইএসএফ বাহিনী নিয়োগ করা হোক’’।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখী, সঙ্গী বিজেপি নেতা
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরের নানা কারণে উত্তাল হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনের ফি বৃদ্ধি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হন পড়ুয়া ও অশিক্ষক কর্মচারীরা। ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্যকে। অন্যান্য আধ্যাপকদেরও সেই সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের কর্তব্য পালন করেননি বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁরা আন্দোলনকারীদের আন্দোলন করতেও ইন্ধন যুগিয়েছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সেই ঘটনার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষার জন্য সিআইএসএফ নিরাপত্তা চেয়ে গত মাসে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি লেখেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
এর আগে, ২০১৭ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ) একই অনুরোধ জানিয়েছিল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে। বিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের সুরক্ষার জন্যই সেই আবেদন করা হয়। কিন্তু, সেটি এখনও বিবেচনাধীন স্তরেই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Read the full story in English