Puri: পুরী বেড়ানো এবার আরও মোহময়ী হবেই হবে। সমুদ্রনগরী পুরীর অলি-গলি বাঙালির হাতের তালুর মতো চেনা। বাঙালির 'দ্বিতীয় বাড়ি' পুরী বললেও ভুল হবে না। তবে এই পুরীতেই রয়েছে চোখ জুড়িয়ে দেওয়া আরও একটি জায়গা। জগন্নাথ ধাম পুরী থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে অপূর্ব এই এলাকাটি। অসাধারণ এই প্রান্ত যেন পুরীর নয়া আবিষ্কার। তবে এখনও ওড়িশার এই এলাকাটি বাঙালি পর্যটকদের কাছে অত বেশি পরিচিত নয়। পুরী মানেই যাঁরা জগন্নাথ দেবের মন্দির, কোনার্কের সূর্য মন্দির, ধবল গিরি, উদয় গিরি-খণ্ড গিরি, লিঙ্গরাজ মন্দির, নন্দনকানন বা চিলকার হ্রদ বোঝেন তাঁদের জন্যই এই বিশেষ প্রতিবেদন। এবার পুরী গেলে অপরূপ এই এলাকাটিতে বেড়িয়ে আসতে ভুলবেন না।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার পুরী বাঙালির সেকেন্ড হোম। সুযোগ পেলেই পুরী ছোটে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির একটি বড় অংশ। জগন্নাথধাম পুরী যাওয়ার জন্য বাঙালির তেমন কোনও বাহানা লাগে না। সুন্দরী পুরী মানেই সমুদ্রের উথাল-পাথাল করে দেওয়া ঢেউয়ে তোলপাড় করে দেওয়া আনন্দের জোয়ার। প্রভু জগন্নাথ দেবের মন্দিরে পুজো দেওয়া। আর সাইট সিনে বেড়িয়ে মোটামুটি তালিকায় থাকা সব কটি জায়গায় দেদার মজায় ঘুরে বেড়ানো। 'আট থেকে আশি পুরী ভালোবাসি', বাঙালির পুরী-প্রেম ঠিক ভাষায় বা লেখনীতে প্রকাশ করা বেশ কঠিন।
আরও পড়ুন- হিমালয়ের কোলের এগ্রাম যেন ক্যালেন্ডারের ছবি! গেলেই বাঁধা পড়বে মন!
তবে জানেন কী? এই পুরীতেই রয়েছে আরও একটি 'পুরী'। অপূর্ব-অসাধারণ এই এলাকা এখনও ততটা জনপ্রিয় হয়নি। তবে কোলাহলহীন, নিরিবিলি এই জায়গায় ভরপুর আনন্দের খোঁজ মেলে। হাতেগোনা কয়েকটি হোটেল এবং কটেজ রয়েছে এতল্লাটে। জঙ্গলের পাড়ে বিস্তীর্ণ সমুদ্রতটে মনের আনন্দে বেড়াতে পারেন।
আরও পড়ুন- শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশ! বাংলার অপূর্ব এই সমুদ্রতটের নজরকাড়া সৌন্দর্য্য চোখ জুড়োবেই
পুরী থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরের নুয়ানাই নেচার ক্যাম্প থেকে ঘুরে আসুন। এখানেই রয়েছে বালুখণ্ড-কোনার্ক ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারি। অভয়ারণ্যের মধ্যেই রয়েছে বিস্তীর্ণ সমুদ্রতট। নুয়ানাই নদীর ধারের এই এলাকা আদর্শ একটি ভ্রমণস্থল। এই অভয়ারণ্যে কালো হরিণ, বানর, কাঠবিড়ালি, জংলি বিড়াল, হায়না এবং বিভিন্ন ধরনের পাখি ও সরীসৃপের দেখা মেলে। অলিভ রিডলি সামুদ্রিক কচ্ছপও এই সমুদ্র সৈকতেই বাসা বাঁধে।
আরও পড়ুন- জ্বালাধরা গরমকে বলুন বাই-বাই! শান্ত-শীতল পাহাড়ি গ্রামে নিন প্রাণের স্বস্তি
এই এলাকাটি নুয়ানাই নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত। নদী-সমুদ্রের অপূরূপ মেলবন্ধন দেখতে হলে এই তল্লাটের জুড়ি মেলা ভার। এখান থেকে খুবই কাছে বালুখণ্ড সমুদ্র সৈকত। ইচ্ছে থাকলে ট্রেকিং করে বা টোটো কিংবা অটো ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন। এই অভয়ারণ্যটি পুরী ও কোনার্কের মধ্যে যাওয়ার রাস্তায় পড়ে।
কীভাবে পৌঁছবেন বালুখন্ড-কোনার্ক অভয়ারণ্যের এই নুয়ানাই নেচার ক্যাম্পে?
পুরী থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে নুয়ানাই নদীর তীরে রয়েছে প্রকৃতির কোলে ঘুমিয়ে থাকা এই আদর্শ ভ্রমণস্থলটি। পুরী রেলস্টেশন থেকেই বালুখন্ড-কোনার্ক অভয়ারণ্যের এই নুয়ানাই নেচার ক্যাম্প যেতে গাড়ি পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন- কোলাহলহীন নিরিবিলি পরিবেশ, শান্ত-স্নিগ্ধ পাহাড়ি গ্রামে মেলে মনের স্বস্তি, প্রাণের সুখ!
থাকবেন কোথায়?
এখানকার চোখ জুড়নো কোস্টাল ফরেস্টের মধ্যেই রয়েছে বেশ কয়েকটি কটেজ। এছাড়াও আরও কয়েকটি হোটেলও আছে। ওডিশা পর্যটন দফতরের কটেজও রয়েছে। এছাড়াও যোগাযোগ করতে পারেন নেচার ক্যাম্প, নুয়ানাই- 094372 23089/07419897371
আরও পড়ুন- ভুলে যাবেন দিঘা-পুরী, বাংলার এই সাগরতটের অসাধারণ শোভা লজ্জায় ফেলবে সুন্দরী রমণীকেও