কমল টাকার দাম। মার্কিন ডলারের তুলনায় বৃহস্পতিবার টাকার দাম কমল ১৩ পয়সা। পতনের পর এক মার্কিন ডলারের দাম হল ৭৭ টাকা ৮১ পয়সা। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি এই পতনের অন্যতম কারণ। অপর কারণ হল, বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়া। এমনটাই জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় শুরু হতেই পড়তে থাকে টাকার দাম। ডলারের তুলনায় টাকার দাম নেমে আসে ৭৭ টাকা ৭৪ পয়সায়। পরে আরও পতন ঘটে তা পৌঁছে যায় ৭৭ টাকা ৮১ পয়সা। এই পতন সর্বনিম্ন বলেই আর্থিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বুধবার যখন মুদ্রা বিনিময় বন্ধ হয়েছিল, সেই সময় এক মার্কিন ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার দাম ছিল ৭৭ টাকা ৬৮ পয়সা। বুধবারও টাকার দাম পড়েছিল। তবে, সেটা ১০ পয়সা। তার আগে এক ডলারের তুলনায় টাকার দাম ছিল ৭৭ টাকা ৫৮ পয়সা।
দেশের আর্থিক হাল কোনওমতে ধরে রাখতে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) বুধবারই মূল সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বৃদ্ধি হল রেপো রেটের। মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম পরাতে রেপো রেট বাড়ানোই সমাধান বলে মনে করছে রিজার্ভ ব্যাংক। এর আগে গত ৪ মে এক জরুরি বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছিল।
এর মধ্যে আশার খবর বলতে একটাই, গ্লোবাল অয়েল বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার, ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ০.১২ শতাংশ কমিয়েছে। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম করেছে ১২৩.৪৩ মার্কিন ডলার। কিন্তু, তাতে আবার ডলারের সঙ্গে ছ'টি আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিনিময় ০.০১ শতাংশ বেড়েছে। স্বভাবতই ডলারের চাহিদা বাড়ায় টাকার দামে তার প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন- নতুন ছোট যুদ্ধজাহাজ কিনবে নৌসেনা, লাগানো হবে কোন কাজে, জানুন সবিস্তারে
তবে, এর মধ্যেই খুশির খবর বৃহস্পতিবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার সূচক সেনসেক্স ৪২৭.৭৯ পয়েন্ট বা ০.৭৮ শতাংশ বেড়েছে। দিনের শেষে সেনসেক্স বন্ধ হয়েছে ৫৫,৩২০.২৮ পয়েন্টে। আর, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার সূচক নিফটিও বেড়েছে। নিফটি বেড়েছে ১২১.৮৫ পয়েন্ট বা ০.৭৪ শতাংশ। দিনের শেষে নিফটি বন্ধ হয়েছে ১৬,৪৭৮.১০ পয়েন্টে।
Read full story in English